দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষয় হয়ে চলেছে আফ্রিকার। ফাটলও দেখা গিয়েছে বহুদিন আগেই। এবার সেখান থেকে ভাঙার পালা। তৈরি হতে চলেছে নতুন মহাসাগর। এই ঘটনাটি ঘটছে পূর্ব আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অংশে। পৃথিবীর বিবর্তনের সঙ্গে তাল রেখে প্রতি সময় ধরে মহাদেশ গুলির মধ্যে প্লেট সরে গিয়ে থাকে।
সেদিক থেকে দেখতে হলে প্রতিটি প্লেটের একটি আলাদা গুরুত্ব থাকে। তাই আফ্রিকার এই ভাঙন গোটা বিশ্বে নতুন দিক তৈরি করবে বলেই মনে করছেন ভূবিজ্ঞানীরা।
যদিও এই কাজটি শেষ হতে এখনও বহু বছর সময় লাগবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আফ্রিকার এই অংশ ভেঙে গেলে তা ভারতের সঙ্গে জুড়ে যেতে পারে। সেখানে ভারতের মোট আয়তন অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে। তৈরি হবে নতুন মহাসাগর। তখন তার নাম কী রাখা হবে সেটা নিয়েও চিন্তাভাবনা করছেন পরিবেশবিদরা।
আফ্রিকার এই সোমালি প্লেট সরে যাওয়ার ফলে নতুন মহাসাগরের জন্ম হবে। পৃথিবী বরাবরই পরিবর্তনশীল। সেদিক থেকে দেখতে হলে স্থলভাগের প্লেটগুলি ক্রমেই সরে যায়। সেটা আমরা বুঝতে পারি না। তবে যখন কোনও প্লেটের বিবর্তন দ্রুত হয়ে থাকে তখন তাকে সবার আগে দেখা যায়।
পৃথিবীর এই বিবর্তনের পরই বহু বছর আগে আটলান্টিক মহাসাগরের জন্ম হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন জলভাগের ভিতরে প্রায় ৪২০ টি ভূমিকম্প হয়েছে। ফলে আফ্রিকার এই ভাগের ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে এটি ভেঙে যাওয়ার ফলে আফ্রিকার ভৌগলিক পরিমাপ অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে যাবে। সমস্যায় পড়তে পারে জাম্বিয়া, উগান্ডার মত জায়গাগুলি।
ভারতের সঙ্গে যখন আফ্রিকার এই অংশগুলি মিশে যাবে তখন প্রধানত রাজস্থান থেকে শুরু করে মুম্বইয়ের সমুদ্রপথগুলি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সংঘর্ষের ফলে সেখানে বড় বড় পাহাড়ের সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি গোটা এলাকায় বরফের চাদরে ঢেকে যাবে। আফ্রিকার এই ভাঙন গোটা বিশ্বে নতুন একটি পরিবেশ তৈরি করবে। পৃথিবীর ভৌগলিক মানচিত্র এরফলে যেভাবে পরিবর্তন হবে সেখানে নতুন আরও দিক তৈরি হবে। এর প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও।
সূত্রঃ দ্য ইকোনমিক টাইমস
এম.কে
০৩ জানুয়ারি ২০২৫