কাশ্মীরে সাম্প্রতিক পর্যটক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই প্রেক্ষাপটে আজ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবেন।
পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের সামরিক প্রস্তুতি ও আগ্রাসী মনোভাব দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। ইসলামাবাদ জাতিসংঘে ভারতের “আগ্রাসী কর্মকাণ্ড” নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আহ্বান করেছে ।
অন্যদিকে, ভারত এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি পারভথানেনি হরিশ বলেছেন, “জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাকিস্তান সেখানে অবৈধভাবে দখল করে আছে, যা তাকে ছাড়তে হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের এই ধরনের অভিযোগ তার নিজস্ব ব্যর্থতা ঢাকার প্রচেষ্টা মাত্র।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠক দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে উভয় পক্ষের কঠোর অবস্থানের কারণে আলোচনায় অগ্রগতি কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উভয় দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কূটনৈতিক পথ অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন।
এই বৈঠকের ফলাফল দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন নজর রাখছে, এই আলোচনার ইতিবাচক অগ্রগতির উপর।
এম.কে
০৫ মে ২০২৫