স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের সামনে কয়েক ডজন অ্যাম্বুলেন্স রোগীদের নামিয়ে দিতে অপেক্ষা করছে। কিন্তু তিল ধারণের জায়গা নেই। খালি নেই আসনও। বহু রোগী জরুরি বিভাগের ওয়েটিং রুমে চিকিৎসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা। যুক্তরাজ্য জুড়েই এমন দৃশ্যপট। কার্যত ভেঙে পড়তে বসেছে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস।
রবার্ট নামের এক চিকিৎসক বলেন, বেশীরভাগ রোগী আসছেন এমন সমস্যা নিয়ে যা খুব সহজেই চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু তাদের ভেতরে আসতে এতো বেশি সময় লাগছে যে চিকিৎসকদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। অথচ রোগীরা এর চেয়ে ভালো পরিস্থিতি পাওয়ার যোগ্য। হাসপাতালগুলোর ভিড়ের কারণে প্রবেশমুখেই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন রোগীরা। সংকীর্ণ প্রবেশপথ এবং ভেতরে থাকা স্বল্প স্থানের জন্যে চিকিৎসা পাওয়া রোগীদেরও ভিড় দেখা যাচ্ছে। এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও এই সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
রবার্ট বলছেন, ছাড়া পাওয়ার মতো সুস্থ এমন অনেক রোগী মাসের পর মাস হাসপাতালে থেকে যাচ্ছেন। অক্টোবর মাসের তথ্য বলছে, ছাড়া পাওয়ার উপযোগী এমন রোগীর মাত্র ৩৯.৯ শতাংশ সে মাসে হাসপাতাল ছেড়েছেন। আরেকটি তথ্য বলছে, এখনই হাসপাতাল ছাড়তে পারেন এমন রোগীদের দ্বারা প্রতিদিন ১৩ হাজার আসন দখলে থাকছে। রবার্টের মতে, এরকম ঘটার প্রধান কারণ হলো- বাড়িতে ঠিকমতো যত্ন করার মানুষের অভাব। দেখাশুনার কেউ না থাকায় অনেক বৃদ্ধ মানুষ সুস্থ হওয়ার পরেও হাসপাতাল ছাড়তে নারাজ।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান