11.8 C
London
May 4, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

মঙ্গল গ্রহে পরমাণু বোমা ফেলতে চান মাস্ক

প্রাণের সন্ধান ছাড়াও পৃথিবী ভিন্ন অন্য কোনো গ্রহকে মানুষের বাসযোগ্য করা যায় কি না, সেটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন বিজ্ঞানীরা। এক্ষেত্রে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে সব সময় এগিয়ে পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গল। এমনকি লাল বর্ণের এই গ্রহকে বাসযোগ্য করতে সেখানে পারমাণবিক বোমা পর্যন্ত ফেলতে চেয়েছিলেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘স্পেস এক্স’-এর প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক।

ইলন মাস্কের মঙ্গল-প্রীতি অনেক পুরোনো। অনেক দিন ধরে লালচে এই গ্রহে মানব বসতি গড়ার স্বপ্ন দেখছে তার প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স। জারি রেখেছে বিস্তর গবেষণাকর্ম।

২০১৫ সালে স্পেস এক্সের মালিক মাস্ক যে প্রস্তাব দেন তাতে চমকে উঠেন বিজ্ঞানীরা। তিনি বলেন, তিনি মঙ্গল গ্রহে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে চান। তা-ও আবার একটি কিংবা দুটি নয়, একাধিক পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে চান তিনি।

২০১৫ সালে একটি টিভি প্রোগ্রামে এসে এমন ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন মাস্ক। এমনকি পরবর্তী সময়ে আরও বেশ কয়েকবার এই প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।

পৃথিবীর প্রতিবেশী গৃহ হলেও মঙ্গলের তাপমাত্রা সাধারণত ২০ থেকে মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করে। এমনকি দেখতে লাল বর্ণের হলেও গ্রহটি বেশ শীতল। সূর্য থেকে অনেক বেশি দূরে অবস্থিত হওয়ায় এমন তাপমাত্রা বিরাজ করে মঙ্গলে।

মাস্কের দাবি, মঙ্গল গ্রহে যদি পরমাণু বোমার একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানো যায়, তাহলে সেখানকার তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। আর যদি এমনটা করা যায় তাহলে মঙ্গল গ্রহকে আরও দ্রুত মানুষের বাসযোগ্য করে তোলা যাবে।

তবে মাস্কের এমন প্রস্তাবে সংশয় প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী মহলের একটি অংশ। তারা পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছেন, মাস্কের পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয় তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট ধূলিকণায় ছেয়ে যেতে পারে মঙ্গলের আকাশ। ফলে সূর্য থেকে আসা আলো সেখানে বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। এর ফলে মঙ্গলের তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে।

এম.কে
২৩ এপ্রিল ২০২৪

আরো পড়ুন

১১৬ বছরে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সর্বোচ্চ লোকসান

ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে গ্রিসের দাবানল, পালাচ্ছে মানুষ

২০৫০ সালের মধ্যে তেল-গ্যাস শূন্য সুইজারল্যান্ড