২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাতারা ২ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড বা প্রায় ২২০ কোটি পাউন্ড অবদান রেখেছেন। শুধু তাই নয়, এই খাতে সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, অনলাইন কনটেন্টের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। এই বাস্তবতায় ব্রিটিশ কনটেন্ট নির্মাতা ও ইনফ্লুয়েন্সারদের স্বার্থ রক্ষায় যুক্তরাজ্যে সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপ গঠিত হয়েছে। গ্রুপটির সহসভাপতি এনফিল্ড নর্থের লেবার এমপি ফেরিয়াল ক্লার্ক বলেন, “কনটেন্ট নির্মাতারা নতুন সৃজনশীল বিপ্লবের পথিকৃৎ, যদিও ওয়েস্টমিনস্টারে এত দিন তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে।”
জনপ্রিয় ব্রিটিশ কনটেন্ট নির্মাতা লিলি সাবরি, যিনি ইউটিউবে ফিটনেস ভিডিও প্রকাশ করেন এবং বর্তমানে প্রায় ৬৫ লাখ অনুসারী রয়েছে, এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, “অনেক দিন ধরে মানুষ সন্দেহ করত—কনটেন্ট নির্মাণ আসলেই কি কাজ? এখন প্রমাণিত হয়েছে এটি টেকসই ক্যারিয়ার।”
যদিও এসব পার্লামেন্টারি গ্রুপের আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা নেই, প্রায় ৫০০টি গ্রুপ নীতিনির্ধারকদের কাছে বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরে। অনেক নির্মাতা মনে করছেন, এই গবেষণা তাদের কাজের স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
কনটেন্ট নির্মাতাদের মতে, কাজের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের সুযোগ পাওয়া, উপযুক্ত স্টুডিও নির্মাণ এবং শুটিংয়ের অনুমতি নেওয়া। ফেরিয়াল ক্লার্ক বলেন, “এই নতুন সর্বদলীয় ফোরাম প্রতিভা বিকাশের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করবে এবং নির্মাতাদের সময়ের অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেবে।”
লিলি সাবরি আরও জানান, তার ক্যারিয়ারের মূল শক্তি এসেছে ইউটিউব থেকে। আট বছর আগে কনটেন্ট নির্মাণ শুরু করে এখন তিনি একাধিক ব্যবসা চালাচ্ছেন এবং কর্মসংস্থান তৈরি করছেন। তার মতে, ইউটিউব না থাকলে তিনি আজকের অবস্থানে আসতে পারতেন না।
ব্রিটিশ কনটেন্ট নির্মাতা ও ইনফ্লুয়েন্সাররা এখন রাজনীতির মূলধারায়ও জায়গা করে নিচ্ছেন। চলতি গ্রীষ্মে প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার প্রায় ৯০ জন ইনফ্লুয়েন্সারকে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানান। যুক্তরাষ্ট্রেও হোয়াইট হাউস মূল ধারার সাংবাদিকদের পাশাপাশি কনটেন্ট নির্মাতাদের সংবাদ ব্রিফিংয়ে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫