যুক্তরাজ্য লেবার পার্টির প্রবীন নেতা ও সাবেক শিশু শরনার্থী আলফ ডাবস বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য একটি পুনর্বাসনের প্রকল্প তৈরি করা জরুরি। এইজন্য তিনি মানবতার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটেন সরকারকে।
নাৎসিদের অত্যাচার হতে পালিয়ে আসা একজন শিশু ছিলেন আলফ ডাবস, যিনি অস্ট্রিয়া থেকে ব্রিটেনে এসেছিলেন। ইসরায়েল ও গাজায় সংকটের পটভূমির বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বিরোধিতা এবং ইসলামোফোবিয়া নিয়ে তিনি আগেই নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের উপর গত সপ্তাহে হামাস হামলা হলোকাস্টের পরে ইহুদি সম্প্রদায়ের উপর বৃহত্তম বলে খবরে জানা যায়। লর্ড ডাবস বলেন হামলা বা বাড়িঘরের উপর বোমা নিক্ষেপ আমাকে গভীরভাবে আহত করে। এটি একটি অবিশ্বাস্যভাবে বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা এবং অবশ্যই আমি তা অনুভব করি।
একটি সাক্ষাত্কারে, ডাবস গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য যে প্রকল্পটি পরিকল্পনা করেছিলেন তার বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। ডাবসের মতে ব্রিটেন, ইউরোপীয় অঞ্চল এবং জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাথে সমন্বয় করে একটি পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু করা উচিত। এই উদ্যোগটিতে মিশরের রাফাহ ক্রসিংকে এক্সিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে মিশর সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে।
ডাবস বলেন শরনার্থী হিসেবে নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত এবং যে কোনো পুনর্বাসন প্রকল্পের অংশ হিসাবে যুক্তরাজ্যে আগতদের সুরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা উচিত।
গাজায় কমপক্ষে ২০০ ইউকে নাগরিকও আটকে পড়েছেন বলে খবরে জানা যায়। যেখানে ব্রিটিশ সরকারের ব্যবস্থাপনার প্রতি অধৈর্যতা বাড়ছে যুক্তরাজ্যের জনগণের। যুক্তরাজ্য সরকারের সংসদ সদস্যরা বলছেন, গাজায় আটকে পড়া ব্রিটিশ নাগরিকদের ফিরিয়ে আনাও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।
উল্লেখ্য যে ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং এর প্রেক্ষিতে গাজায় ফিরতি হামলায় হাজার হাজার মানুষ আহত এবং অনেকে নিহত হয়েছে। উভয়পক্ষের এই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হতে ভিন্ন গোষ্ঠীর মাঝে বিরোধীতা এবং ইসলামোফোবিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। যা হতে বিশ্বের শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
এম.কে
২০ অক্টোবর ২০২৩