7.2 C
London
December 22, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যের সকল বিমানবন্দরে উচ্চ প্রযুক্তির স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ

লন্ডন সিটি বিমানবন্দরটি উচ্চ-প্রযুক্তি স্ক্যানার ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে। এই স্ক্যানার ব্যবহার শুরু করার ফলে এখন হতে যাত্রীদের ১০০ মিলি তরল ব্যবহারের সীমারেখা বাতিল করা হবে বলে খবরে জানা গিয়েছে।
বৃটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, ভ্রমণকারীরা এখন দুই লিটার পর্যন্ত তরল বহন করার জন্য অনুমতি পেতে যাচ্ছেন।
মার্চ মাস হতে যুক্তরাজ্য সরকার সকল বিমানবন্দরে এই প্রযুক্তি যুক্ত করার কাজ শুরু করার আদেশ দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বৃটিশ গণমাধ্যম।
বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র বলেন, সরকার যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দরগুলিতে উচ্চ-প্রযুক্তি স্ক্যানার মেশিনগুলি ইনস্টল করার জন্য ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
লন্ডন সিটি বিমানবন্দরে যে সিথ্রি স্ক্যানারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে তা ব্যাগের ভিতরের উচ্চ-রেজুলিউশন থ্রিডি চিত্র নিতে পারে। যার ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বোমা বা ভয়ঙ্কর দাহ্য পদার্থ থাকলে তা সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব।
তথ্যমতে অন্যান্য বিমানবন্দরগুলিতে যতক্ষণ পর্যন্ত উচ্চ-প্রযুক্তি স্ক্যানার যুক্ত করা না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত যাত্রীরা সুরক্ষা চেকের জন্য হাতের লাগেজ থেকে ট্যাবলেট, ল্যাপটপ এবং ১০০ মিলির বেশি তরল সরিয়ে ফেলতে হবে।
২০০৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে তরল নিষেধাজ্ঞার বর্তমান বিধিগুলি চালু করা হয়েছিল। এর কারণ হিসেবে বৃটিশ পুলিশ বলেছিল তারা সন্দেহ করে পানীয়তে লুকিয়ে থাকা এক ভয়ানক দাহ্য বিস্ফোরক রয়েছে যা বিমানের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে।
এই নিয়মের কারণে বিমানবন্দরে যাত্রীরা চরম হয়রানির মুখে পড়েন বলে জানা যায়।
লন্ডন সিটি বিমানবন্দর এক বছরেরও বেশি সময় আগে নতুন প্রযুক্তিটি ট্রায়াল করা শুরু করে এবং গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ব্যবহৃত সিটি স্ক্যানারগুলির মতো চারটি নতুন এক্স-রে মেশিন বিমানবন্দরে যুক্ত করে।
চিফ অপারেটিং অফিসার অ্যালিসন ফিৎসগেরাল্ড বলেছেন, ” স্ক্রিনিং কর্মীদের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য  প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি থ্রিডি চিত্র উপস্থাপন করতে সক্ষম যা নিশ্চিত করতে পারে ব্যাগেজের ভিতর নিরাপদ আছে কিনা। এক্স-রে এর মাধ্যমে এখন প্রক্রিয়াজাতকরণের স্তরটি আগের চেয়ে আরও বেশি সুরক্ষিত এবং মেশিনটি একটি অ-বিতর্কিত এবং বিপজ্জনক তরলগুলির মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা রাখে।”
কাস্টমার কেয়ার এক্সপার্ট  হ্যারি কিন্ড বলেছেন, এটি ১৭ বছর আগে প্রবর্তিত এমন একটি সিস্টেম যা যাত্রীদের প্রচুর ভোগান্তি দিয়েছে। অতিরিক্ত সিকিউরিটি চ্যাকিংয়ের কারণে যাত্রীদের মূল্যবান সময় ব্যয় হয়। তাছাড়া মান্ধাতার আমলের যন্ত্র থাকায় গতি ধীর হওয়া স্বাভাবিক। এমন অনেকে র‍য়েছেন যারা এইসব কারণে নিজেদের ফ্লাইটও মিস করেছেন।
এখন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করায় পরিবর্তনটি একটি বিশাল পার্থক্য আনবে।
তিনি আরও যোগ করেন, লন্ডন সিটি বিমানবন্দরটি ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দরগুলির মধ্যে দ্রুততম ছিল। তিনি আশা করেন যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিমানবন্দরগুলি ধীরে ধীরে নতুন প্রযুক্তি চালু করবে এবং কাস্টমার সেবা দ্রুততার সাথে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র বলেন, হিথ্রো বিমানবন্দর ২০১৭ সালে ইতিমধ্যে থ্রিডি স্ক্যানার ট্রায়াল করেছে। গ্যাটউইক বর্তমানে উচ্চ-প্রযুক্তি স্ক্যানার চালু করার পরিকল্পনা করেছে।
অন্যান্য বিমানবন্দরগুলি বৃটিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে ২০২৪ সালের জুনের সরকারী সময় সীমার সাথে সামঞ্জস্য রেখে উচ্চ-প্রযুক্তি স্ক্যানার চালু করার পরিকল্পনা করেছে।

আরো পড়ুন

কিয়ার স্টারমারের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সংস্কার

লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড বিকল করা ধর্মঘট আসছে

অনলাইন ডেস্ক

ব্রিটেনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশুরা স্থূলতায় এগিয়ে