13.1 C
London
April 29, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কারসাজির অভিযোগ

যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্র ইউনিয়নগুলি সতর্ক করেছে, সরকার যদি অক্টোবর মাসে সাধারণ নির্বাচনের ডাক দেয় তবে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভোট দিতে সক্ষম নাও হতে পারে। কারণ শিক্ষার্থীরা সেপ্টেম্বর মাসে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে। নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থী যে ঠিকানায় নিবন্ধিত সেই ঠিকানায় ভোট প্রদান করতে হয়। তাই অক্টোবর মাসে ভোটের তারিখ ঘোষণা হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় নিবন্ধনের জন্য পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ নাও পেতে পারে শিক্ষার্থীরা।

চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট গত সপ্তাহে হাউস অফ লর্ডস সিলেক্ট কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন সময়ে অক্টোবরে সম্ভাব্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নগুলি আগামী নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে নার্ভাস রয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। নতুন শিক্ষার্থীরা হল বা তাদের বাসস্থান নিয়ে নতুন অবস্থায় ব্যস্ত থাকে। যার ফলে নির্বাচনী রেজিস্টারে যোগদানের জন্য আবেদন করার সময় বা ফটো আইডি অর্জন প্রায় অসম্ভব হয়ে যায় তাদের জন্য। তাই নির্বাচনের তারিখ নিয়ে শঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নগুলি।

তথ্যমতে জানা যায়, অক্টোবরে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে সেপ্টেম্বরে নতুন আসা শিক্ষার্থীরা মাত্র দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় কাউন্সিলে নির্বাচনে ভোটার হবার জন্য সময় পাবেন। যার ফলে ভোটার হিসাবে রেজিস্টার্ড হবার যথেষ্ট সময় শিক্ষার্থীদের কাছে থাকবে না।

নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পল গ্রেট্রিক্স সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানানো হলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে বঞ্চিত করা হবে ভোট দান করা হতে।

গ্রেট্রিক্স জানান, যে নতুন শিক্ষার্থীরা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় হতে আসবে (যারা আগের ঠিকানায় রেজিস্টার্ড করা) তাদের জন্য নিয়ম করা উচিত যাতে কাছাকাছি ভোটকেন্দ্রে তারা ভোট প্রদান করতে পারে।

উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আর বছরের শুরুতে তাদের শিক্ষার্থীদের ম্যাসেজের মাধ্যমে ভোটের জন্য নিবন্ধন করতে পারে না। কারণ ভোটের জন্য এখন প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদাভাবে নিবন্ধন কর‍তে হয়। তাই নতুন নিয়মের ফলস্বরূপ হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভোট প্রদানে বাঁধার সম্মুখীন হবে।

জাতীয় স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট নেহাল বাজওয়া বলেন, ” সেপ্টেম্বর হতে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ব্যস্ত সময় শুরু হয়। যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী ভোটের জন্য নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন না। এছাড়া তাদের আগের বিশ্ববিদ্যালয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হতে অনেক সময় ভিন্ন স্থানে হওয়ার কারণে তারা ভোট প্রদান করতে ঝামেলায় পড়েন।”

তাই নেহাল বাজওয়া সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের জন্য ভোটার হিসাবে নিবন্ধনে, স্বয়ংক্রিয় তালিকাভুক্তি সিস্টেম প্রবর্তনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ভোটের হিসাব বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে অঞ্চলে ভোটারদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি সেখানে লেবার পার্টি ভোটে ভালো ফলাফল করেছে। শিক্ষার্থী যেখানে বেশি সেখানে শতকরা ২৫ ভাগ ভোট লেবার পার্টি বেশি পেয়ে থাকে।

২০১৭ সালের ক্যানটারবেরি এবং লিডস উত্তর পশ্চিম উভয় আসন লেবার পার্টি ভোটে জিততে এবং ২০১৯ সালে তাদের আসন ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের ভোট বড় প্রভাব রেখেছিল বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়।

উল্লেখ্য যে, ইউকের সাধারণ নির্বাচন মে বা জুনে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। তবে চ্যান্সেলর জেরেমি হান্টের কথায় ইলেকশনের তারিখ পেছানোর কথা উঠে এসেছে। তথ্যমতে যুক্তরাজ্যে অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনটি ছিল ১৯৭৪ সালে।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
২৫ মার্চ ২০২৪

 

আরো পড়ুন

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নিলেন বরিস জনসন

নিউজ ডেস্ক

ইংলিশ চ্যানেলে অবৈধ অভিবাসী শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে যুক্তরাজ্য

স্বাস্থ্যকর্মীদের সংকটে ধুকছে যুক্তরাজ্য সরকার