TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যের সামরিক ঘাঁটিতে রাখা আশ্রয়প্রার্থীদের চিকিৎসায় এমএসএফ

যুক্তরাজ্যের পরিত্যক্ত সামরিক ঘাঁটিতে রাখা আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি সংস্থা এমএসএফ৷

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস নামেও পরিচিত এই সংস্থাটি গাজা, ইউক্রেনের মতো সংঘাতপূর্ণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে৷ এছাড়াও ২০১৬ সাল থেকে গ্রিক দ্বীপগুলোতে অভিবাসীদেরও চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে তারা৷

চলতি সপ্তাহে সংস্থাটি জানিয়েছে প্রথমবারের মতো তারা যু্ক্তরাজ্যে থাকা আশ্রয়প্রার্থীদেরও চিকিৎসাসেবা দেয়ার কর্মসূচি নিয়েছে৷ শুরুতে লন্ডনের উত্তরপূর্ব দিকের ওয়েদারসফিল্ডের বাইরে একটি মোবাইল ক্লিনিক বসাবে এমএসএফ৷

ওই এলাকার পরিত্যক্ত সামরিক ঘাঁটিতে ৬৫০ জন পুরুষ আশ্রয়প্রার্থীকে রাখা হয়েছে৷ তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে৷ ঘাঁটিতে ক্রমান্বয়ে এক হাজার ৭০০ মানুষকে রাখা হবে৷

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘাঁটিটি আশ্রয়প্রার্থীদের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে এবং সেখানকার খরচ হোটেলের তুলনায় অনেক কম৷ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বাসস্থানের জন্য দেশটির দক্ষিণ উপকূলে বিবি স্টকহোম নামের একটি বার্জ রাখা হয়েছে৷

ডক্টরস অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইউকে-এর নির্বাহী পরিচালক সিমন টাইলার বলেছেন, ‘‘খোলা কারাগারের’’ মতো এসব ঘাঁটিতে লোকজনকে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ এই আশ্রয় শিবিরটি নিয়ে সমালোচনা করেছে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা৷

ডিসেম্বরে ইরানের একজন আশ্রয়প্রার্থী জানিয়েছেন, ওয়েদারসফিল্ডের এই আশ্রয় শিবিরে বিচ্ছিন্নতা, একাকীত্ব এবং বাজে অবস্থার কারণে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি৷ এমনকি, আরো ছয় বা সাত জনের সঙ্গে মিলে নিজের শরীরে আগুন দিতেও চেয়েছিলেন৷ অন্যদিকে, গত ১২ ডিসেম্বরে ভাসমান আশ্রয় শিবির বিবি স্টকহোমে লিওনার্ড ফারুকু নামের এক আলবেনীয় আশ্রয়প্রার্থী আত্মহত্যা করেছেন৷

এসেক্সের আশ্রয় সুবিধায় থাকা পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্যের আরো অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এমএসএফ৷ ওই ঘাঁটিতে থাকা অনেকেই আশ্রয় প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপেক্ষায় আছেন৷

আশ্রয়প্রার্থীদের এমন নিয়ন্ত্রিতভাবে রাখার সমালোচনা করেছেন ওয়েদারসফিল্ডে এমএসএফ-এর প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ড. জাভিদ আবদেলমোনেইম৷ তিনি বলেন, এটি হলো ‘‘বিপর্যয়ের একটি রেসিপি, যা শেষ পর্যন্ত জীবন কেড়ে নেয়৷’’

হোম অফিস বলছে, নির্যাতন, ধর্ষণ বা অন্যান্য ধরণের শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে যারা আশ্রয় চাইতে এসেছেন তাদের ওয়েদারসফিল্ডের মতো সাইটে পাঠানোর উদ্দেশ্য সরকারের নেই৷
কিন্তু আবদেলমোনেইমের মতে, সেখানে থাকা অনেক পুরুষ আশ্রয়প্রার্থী সহিংসতা, যুদ্ধ এবং মানসিক আঘাতের শিকার হয়েছেন৷

হোম অফিস জানিয়েছে, আশ্রয়প্রার্থীদের সাহায্য, পরামর্শ প্রয়োজন হলে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত হটলাইনে যেকোনো দিন যেকোনো সময় ফোন করা যাবে৷

এম.কে
১৩ জানুয়ারি ২০২৪

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যের খাবার পানি’র উৎস মিঠা পানির হ্রদে বিষক্রিয়া, বিপর্যয়ের শঙ্কা

ব্রিটেনে মর্গেজ অ্যাপ্লিকেশনে যেধরনের ইনকাম ডকুমেন্ট লাগবে

অনলাইন ডেস্ক

অ্যাসাইলামপ্রার্থীদের প্রকাণ্ড আটককেন্দ্রে পাঠাবে হোম অফিস

অনলাইন ডেস্ক