যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা আশ্রয়প্রার্থী আবাসন হিসাবে হোটেলগুলির ব্যবহার বন্ধ করতে চান। হোটেল,মোটেলের পরিবর্তে সামরিক ঘাঁটি বা অব্যবহৃত ফেরি ব্যবহার করতে চায় যুক্তরাজ্য সরকার।
হোটেল থেকে সামরিক ঘাঁটিতে অথবা অব্যবহৃত ফেরিতে অভিবাসীদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সরকার এই ঘোষণা দিবে বলে জানায় বৃটিশ গণমাধ্যম।
টরি এমপিরা গত সপ্তাহে ঋষি সুনাকের অবৈধ অভিবাসন বিলের বিরুদ্ধে দ্বিমত পোষণ করেন। নতুন অভিবাসন বিল নিয়ে কনজারভেটিভ সরকারের ভিতরেই নানা টানাপোড়েন রয়েছে। এরই মধ্যে এই নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা তুলল বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
বরিস জনসনের প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিব ড্যানি ক্রুগারসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র টোরি এমপি এবং প্রাক্তন মন্ত্রীরা গত সপ্তাহে এমন একটি সংশোধনী স্বাক্ষর করেছেন যা অবৈধ অভিবাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় আদালতের মানবাধিকার আইনের পক্ষে কথা বলবে বলে জানায় গণমাধ্যম।
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অবৈধ অভিবাসন বিল আইনটি সোমবার ও মঙ্গলবার হাউজ অব কমন্স কর্তৃক তদন্ত করা হবে বলে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
সরকারী সূত্র জানিয়েছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হোটেল আবাসন সম্পর্কিত একটি নতুন ঘোষণাও সরকার কর্তৃক সামনে আনা হবে।
লিংকনশায়ারের একটি রয়্যাল এয়ার ফোর্স বেসে আশ্রয় প্রার্থীদের থাকার পরিকল্পনা করার পরে স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং ঐতিহাসিকবিদেরা এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। যদিও সরকারের পরিকল্পনা মতে রয়্যাল এয়ার ফোর্স বেসে প্রায় ১৫০০ জন আশ্রয় প্রার্থীদের খুব সহজেই রাখা যেতো।
কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা ও ইতিহাসবিদেরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত এই স্থান আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যবহারের জন্য দেওয়ার পক্ষপাতী নন। অ্যারোব্যাটিক্স ডিসপ্লে টিম এবং ড্যামবাস্টারদের প্রাক্তন বাড়ি – স্কোয়াড্রন যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম বিখ্যাত বিমান অভিযানের চিহ্ন বহন করে বলে অনেকেই জানান।
বরং যুক্তরাজ্য সরকার প্রস্তাবিত এয়ার বেসটিকে ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে চিহ্নিত করে রাখলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইতিহাস সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে বলে ইতিহাসবিদেরা মতামত জানান।