ব্রেক্সিটের আগে যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতি আবেদনকারীদের স্বল্পমেয়াদি বিদেশ সফরের পর দেশে ফেরায় বাধা দেওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছে ইইউ নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত আইনগত সংস্থা ইন্ডিপেনডেন্ট মনিটরিং অথরিটি ফর সিটিজেন্স’ রাইটস এগ্রিমেন্টস (IMA)। সংস্থাটি এ বিষয়ে হোম অফিসকে চিঠি দিয়ে জানায়, আবেদনকারীরা স্বল্প সময়ের জন্য বিদেশ গেলে দেশে ফেরার সময় নানা জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন, যা উদ্বেগজনক।
IMA জানায়, হোম অফিস প্রদত্ত বৈধ সার্টিফিকেট অব অ্যাপ্লিকেশন (CoA) থাকা নাগরিকরা বিমানবন্দর বা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে নথি প্রদর্শন করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ ও প্রস্থান করার অধিকার প্রমাণ করতে পারেন। তবে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন আবেদনকারীকে ফেরার পথে আটকে রাখা ও বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে, যা নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন করছে।
৩৪ বছর বয়সী এক স্প্যানিশ নারী মারিয়া (ছদ্মনাম) ব্রিটিশ স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছিলেন। বড়দিনে বোনের নবজাতককে দেখতে স্পেনে গিয়ে ফেরার সময় লুটন বিমানবন্দরে তাকে আটকিয়ে এক রাত পর বহিষ্কার করা হয়। এতে তিনি চাকুরি ও স্থায়ী জীবনের সুযোগ হারান। আরেকজন গ্রিক সাইপ্রিয়ট কস্তা কুশিয়াপিসকেও নভেম্বর মাসে আমস্টারডাম সফরের পর স্কটল্যান্ডে ফেরার সময় বহিষ্কার করা হয়, যদিও তাকে তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছিল ভাড়াবাসা ও চাকুরির বিষয় গুছিয়ে নেওয়ার জন্য।
IMA-এর প্রধান নির্বাহী মিরান্ডা বিডল বলেন, বৈধ CoA ধারী আবেদনকারীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ ও প্রস্থান করার অধিকার রয়েছে, তবে সীমান্তে অতিরিক্ত নথি প্রদর্শনের শর্তে। তিনি জানান, সংস্থাটি সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে চায় যাতে নাগরিকরা তাদের অধিকার প্রয়োগে নিরুৎসাহিত না হন।
সংস্থাটি হোম অফিসকে সতর্ক করেছে যে, ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ETA) ব্যবস্থা চালুর আগে CoA ধারীদের ভ্রমণ অধিকার বিষয়ে স্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি। বর্তমানে তারা ETA-এর জন্য যোগ্য নন, তবে অব্যাহতি প্রাপ্তও নন, ফলে প্রবেশের অনুমতি প্রমাণ করতে হয়। এ বিষয়ে নাগরিক অধিকার সংগঠন the3million জানিয়েছে, IMA কার্যত সীমান্ত কর্তৃপক্ষের অবস্থানকে সমর্থন করছে, যা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বসবাসের প্রমাণ দেখানোর বাধ্যবাধকতা চাপায়। তাদের মতে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত CoA-ই যথেষ্ট প্রমাণ।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১২ আগস্ট ২০২৫