TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে কর্মস্থলের লাইসেন্স বাতিলে অনিশ্চয়তায় অভিবাসী কর্মীরা

বাংলাদেশি অভিবাসী জামিল যুক্তরাজ্যে কেয়ার কর্মী সংকট মেটাতে যুক্তরাজ্যে আসেন। কিন্তু নিয়োগদাতা কোম্পানির শোষণ ও স্পনসর লাইসেন্স বাতিলের পর তিনি অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। তিনি বলেন, “আমি সব হারিয়েছি, প্রতিদিন মানসিক চাপে ভুগছি।”

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ২০২৩ সালে ৩৩৬টি কোম্পানির স্পনসর লাইসেন্স বাতিল হলেও ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১,৫১৪ —যা প্রায় ৩৫০% বৃদ্ধি। ফলে বহু অভিবাসী দারিদ্রতায় জর্জরিত পড়েছেন।

জামিল জানান, কাজ না থাকলেও কোম্পানি তার নিকট হতে টাকা নিয়ে পে-স্লিপ দিতো। লাইসেন্স বাতিলের পর কোম্পানি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। শত শত চাকরির আবেদন করলেও তিনি সফল হননি এবং এখন ড্রাইভিং শিখছেন।

আরেক অভিবাসী রাজন বলেন, তাকে প্রতিদিন ১৪ ঘণ্টা করে ৬০ দিন কাজ করানো হয়েছিল, অথচ ছুটি বা চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের অভিবাসন ব্যবস্থায় তখন যথাযথ যাচাই ছিল না, ফলে এখন অভিবাসীরা অনিশ্চয়তা ও দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছেন।

সরকার ভিসা অপব্যবহার রোধে নতুন নীতি চালু করেছে, যার মধ্যে স্পনসরশিপ খরচ কর্মীদের ওপর চাপানোর নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ম ভাঙা কোম্পানিকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে।

কেয়ার খাতে কর্মী সংকট মোকাবিলায় নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন বিদেশি কর্মী আনার আগে দেশীয় কর্মী নিয়োগের চেষ্টা করতে হবে, যা অভিবাসীদের জন্য নতুন চাকরি পাওয়া আরও কঠিন করে তুলছে।

সূত্রঃ বিবিসি

এম.কে
২৮ এপ্রিল ২০২৫

আরো পড়ুন

৯৫ হাজার পাউন্ড শুল্ক ফাঁকি দিয়ে তামাকপণ্য পাচারে একজনের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক

ভিড় বেড়েছে লন্ডনের প্রপার্টি মার্কেটে

নিউজ ডেস্ক

ব্রিটেনে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আপসানা