যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতারা জিনিসপত্রের দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রাহক শূণ্যতার কারণে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন হতে জানা যায়। বৈরী আবহাওয়া ও অর্থনৈতিক দৈন্যতার জন্য গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা হিসেবে এই দরপতনের ঘটনা বলে জানা যায়।
ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম (বিআরসি) জানিয়েছে জুনের তুলনায় জুলাইয়ে পণ্যের দাম ০.১% কম ছিল। এদিকে একটি গবেষণা সংস্থার তথ্যানুযায়ী মূল্য মূল্যস্ফীতি হার গত জুন মাসে ৮.৪% থেকে জুলাই মাসে ৬.৬% এসে দাঁড়িয়েছে।
পোশাক এবং জুতার দোকানে মূল্যহ্রাসের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বিরাট মূল্যহ্রাসের পরেও ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যা কারণে গ্রাহকেরা গ্রীষ্মকালীন পোষাক ক্রয়ে অন্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি উদাসীন ছিল বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।
কিছু খাদ্যদ্রব্য যেমন তেল, চর্বি, মাছ এবং প্রাতঃরাশের সিরিয়াল সহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে বলেও জানা যায়। যদিও সামনে খারাপ সময় এগিয়ে আসছে রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে। রাশিয়া ইতিমধ্যে কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্য পরিবহনে হুঁশিয়ারি দেওয়ায় নতুন অচলাবস্থা সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাছাড়া পুরো পৃথিবী জোরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষি পণ্য ফলনেও ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটেছে। এরমধ্যে ভারত ও আরব আমিরাত চাল রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ব চালের বাজারেও সৃষ্টি হতে পারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির।
ব্রিটিশ খুচরা ব্যবসায়ী কনসোর্টিয়ামের প্রধান নির্বাহী হেলেন ডিকিনসন বলেন, ” সরবরাহ চেইনের সমস্যার কারণে আসছে মাসগুলিতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলে আঁচ করা যাচ্ছে। তবুও আশা করা যায় অন্যান্য পণ্যের তুলনায় খাদ্যপণ্যের দাম কমতে পারে।”
উল্লেখ্য যে, সামগ্রিক মূল্য বৃদ্ধির হার যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হারের সাথে ধীর হচ্ছে। যা থেকে অনুমান করা যায় পণ্য ও পরিষেবার দামের তারতম্য ঘটতে পারে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন দাম হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে, ইতিমধ্যে পেট্রোলের দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে। পেট্রোলের দামের কারণে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পায় বিধায় জিনিসপত্রের দামের হ্রাস টানা যাচ্ছে না বলে জানা যায়।
এম.কে
০১ আগস্ট ২০২৩