যুক্তরাজ্যে পুরনো ধরনের বিদ্যুৎ মিটার বন্ধ হয়ে গেলে প্রায় ৩ লাখের বেশি ঘর গরম পানি ও হিটিং সুবিধা হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে বলে সতর্ক করেছে বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টরা।
৩০ জুনের মধ্যে রেডিও টেলিসুইচিং সিস্টেম (RTS) মিটারগুলো স্মার্ট মিটারে রূপান্তর না হলে অনেক বাসিন্দা সমস্যায় পড়বেন। বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো বলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব মিটার বদলানো “অত্যন্ত কঠিন” হবে।
৮০’র দশক থেকে ব্যবহৃত RTS মিটারগুলো পিক ও অফ-পিক সময়ে আলাদা হারে বিদ্যুৎ দিতে দীর্ঘতর তরঙ্গ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে আসছে। এখন প্রযুক্তিটি পুরনো হয়ে পড়ায় এগুলো বদলানোর সময়সীমা ৩০ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এনার্জি ইউকে জানিয়েছে, মার্চ শেষে ৪ লাখ ৩০ হাজার RTS মিটার এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিদিন ১ হাজারের বেশি মিটার বদলানো হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এই হার পাঁচগুণ হওয়া দরকার।
কমিটির কর্মকর্তারা বলছেন, পরিবর্তনের গতি বাড়লেও জুনের মধ্যে সব মিটার বদলানো খুবই কঠিন হবে।
‘এন্ড ফুয়েল পোভার্টি কোয়ালিশন’-এর সাইমন ফ্রান্সিস বলছেন, ১ জুলাইয়ের পর ৩ লাখের বেশি পরিবার বিকল RTS মিটারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গ্রামীণ অঞ্চলে প্রকৌশলী সংকটের কারণে সমস্যাটি আরও জটিল হতে পারে।
Ofgem জানিয়েছে, RTS মিটারগুলো সাধারণত গৃহস্থালির বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অন্য অংশ থেকে আলাদা সার্কিটে হিটিং ও পানি গরম রাখে।
তথ্যমতে জানা যায়, অনেক গ্রাহক স্মার্ট মিটার নিতে চান না। কেউ কেউ স্মার্ট মিটার ইনস্টল করেও সমস্যায় পড়েছেন, কারণ এটি এলাকাভেদে ভালো বা খারাপ কাজ করে।
আপনার RTS মিটার আছে কিনা কীভাবে জানবেনঃ
Ofgem জানিয়েছে, নিচের লক্ষণগুলো থাকলে আপনার RTS মিটার থাকতে পারেঃ
★মিটারের পাশে Radio Teleswitch লেখা আলাদা সুইচ বক্স।
★বাড়িতে গ্যাস না থাকা।
★Economy 7 বা সময়ভেদে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ট্যারিফে থাকা।
★গরম পানি বা হিটিং বিদ্যুতে চলা।
সরকার বলেছে, তারা Ofgem ও বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করছে যেন এই রূপান্তর প্রক্রিয়া ভোক্তাদের জন্য সহজ হয়।
তাছাড়া সরকারের পক্ষ হতে, কারো বাড়িতে RTS মিটার থাকলে, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
৩০ এপ্রিল ২০২৫