যুক্তরাজ্যে বক্সিং ডে ২০২৫ সেল শুরু হয়েছে প্রযুক্তিপণ্য, বিউটি, গৃহস্থালি সামগ্রী ও গেমিং কনসোলে উল্লেখযোগ্য ছাড় নিয়ে। অ্যামাজন, আর্গোস, জন লুইস, কারিজ ও বুটসের মতো শীর্ষ রিটেইলারগুলোতে একযোগে সেল শুরু হওয়ায় ক্রেতাদের সামনে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের সাশ্রয়ের সুযোগ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা বছর জুড়ে একাধিক সেল থাকলেও বক্সিং ডে এখনও তুলনামূলকভাবে নির্ভরযোগ্য, কারণ বহু পণ্যের দাম ব্ল্যাক ফ্রাইডের চেয়েও কমে আসে। প্রাইস ট্র্যাকিং সাইট ব্যবহার করে দেখা গেছে, গত বছর অনেক জনপ্রিয় পণ্য বক্সিং ডে সেলের শুরুতেই বছরের সর্বনিম্ন দামে নেমেছিল।
প্রযুক্তিপণ্যের মধ্যে ই-রিডার, হেডফোন ও গেমিং কনসোলে উল্লেখযোগ্য ছাড় দেখা যাচ্ছে।
অ্যামাজনের Kindle, Sony-এর নয়েজ ক্যানসেলিং হেডফোন এবং PS5 Slim ও PS5 Pro–এর মতো কনসোলগুলোতে শত শত পাউন্ড পর্যন্ত মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই পারফরম্যান্স বজায় রেখে কম দামে এসব পণ্য কেনার এটি অন্যতম সেরা সময়।
বিউটি ও ওয়েলনেস ক্যাটাগরিতেও বক্সিং ডে সেল ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে। Dyson Airwrap, Estée Lauder ও Elemis–এর মতো প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের পণ্য ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি স্মার্ট রিং ও IPL হেয়ার রিমুভাল ডিভাইসের মতো উচ্চমূল্যের গ্যাজেটেও বড় ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে, যা সাধারণ সময়ে খুব কমই দেখা যায়।
গৃহস্থালি পণ্যের বাজারেও সেলটির প্রভাব স্পষ্ট। Simba–র মতো ব্র্যান্ডের ম্যাট্রেসে কয়েকশ পাউন্ড ছাড় দেওয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন অনেক ক্রেতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব পণ্যে সেল চলাকালে কেনাকাটা করলে মান ও দামের মধ্যে ভালো ভারসাম্য পাওয়া যায়।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, কম দাম মানেই ভালো ডিল নয়। পণ্যের আগের দাম যাচাই করা, প্রয়োজন অনুযায়ী কেনাকাটা করা এবং আবেগের বশে অপ্রয়োজনীয় পণ্য না কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। কারণ বক্সিং ডে সেল জানুয়ারি পর্যন্ত চললেও জনপ্রিয় ও সীমিত স্টকের পণ্য দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে।
সব মিলিয়ে, বক্সিং ডে ২০২৫ সেল যুক্তরাজ্যের ক্রেতাদের জন্য এখনো বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেনাকাটার সময়। সচেতনভাবে বাছাই করলে এই সেল থেকেই পাওয়া যেতে পারে সবচেয়ে বড় সাশ্রয়।
সূত্রঃ দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এম.কে

