ইউকে থেকে সিগন্যাল তাদের সার্ভিস সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ইউকে অনলাইন সেফটি বিলের অধীনে সিগন্যালের মেসেজিং সিস্টেমের গোপনীয়তা দুর্বল করতে বাধ্য করা হলে ইউকেতে তাদের সার্ভিস চালিয়ে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকবে না বলে জানিয়েছেন সিগন্যালের প্রেসিডেন্ট মেরেডিথ হুইটেকার।
তবে যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে যে তাদের প্রস্তাব “এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের উপর নিষেধাজ্ঞা” সৃষ্টি করা নয়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অপরাধীদের অভয়াশ্রম তৈরি হতে না দেয়াই তাদের মূল কাজ।
বরিস জনসন প্রবর্তিত অনলাইন সেফটি বিল নিয়ে বর্তমানে পার্লামেন্টে আলোচনা চলছে। সমালোচকরা বলেছেন কোম্পানিগুলিকে নতুন আইনের অধীনে শিশুদের যৌন নির্যাতনের উপাদান বা সন্ত্রাসের বিষয়বস্তুর জন্য এনক্রিপ্ট করা অ্যাপে বার্তা স্ক্যান করার জন্য অফকমের প্রয়োজন হতে পারে। এর আগে হোয়াটসঅ্যাপ বলেছিল তারা কোনো সরকারের জন্য নিজেদের সিস্টেমের নিরাপত্তা কমাতে রাজি হবে না। হোয়াটসঅ্যাপ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনও ব্যবহার করে, যেমন অ্যাপলের আই-ম্যাসেজ সিস্টেম এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফেসবুক ও টেলিগ্রাম করে থাকে।
হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন,
এটি গুরুত্বপূর্ণ যে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি তাদের প্ল্যাটফর্মগুলিকে যেন শিশু নির্যাতনের বিচরণক্ষেত্রে পরিনত না করে।
মিসেস হুইটেকার বলেন, আমরা গোপনীয়তা রক্ষা করার চেষ্টা করি এটা সত্য তবে তা শুধুমাত্র ভাল মানুষদের জন্য। তাছাড়া প্রাইভেসি ও চাইল্ড সেইফটি কখনও বাছাই করে নেওয়ার অপশন হতে পারে না।এনক্রিপশন হয় সবার জন্যই ভালো নতুবা কারো জন্যই ভালো নয়।
বর্তমানে শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর হতে সিগন্যালের ১০০ মিলিয়নেরও বেশি অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে।
একটি ক্যালিফোর্নিয়ান অলাভজনক সংস্থার তথ্যমতে সিগন্যাল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদ অন্তর্ভুক্ত৷
যুক্তরাজ্যে অনলাইন সেফটি বিল পাশ হলে প্রত্যেকের ফোন একটি “গণ নজরদারি” ডিভাইসে পরিণত হবে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
এম.কে
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩