যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো বাড়ি কিনতে আগ্রহী নাগরিকদের জন্য স্বস্তির বার্তা দিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মর্টগেজ ঋণ প্রদানে শর্ত শিথিল করার সুপারিশ করেছে, যাতে করে আয়ের তুলনায় বেশি ঋণ পাওয়া সহজ হয়।
বর্তমানে নতুনভাবে দেওয়া মর্টগেজের মাত্র দশ শতাংশের কম অংশ আয় গুণ ৪.৫ অনুপাতে ছাড়িয়ে যায়। ব্যাংক বলেছে, পৃথকভাবে প্রতিটি ব্যাংক ও গৃহঋণ প্রতিষ্ঠান যেন তাদের নতুন ঋণের পনেরো শতাংশ পর্যন্ত এই অনুপাতে ঋণ দিতে পারে।
তবে দেশের সামগ্রিক মর্টগেজ বাজারে এই ধরনের উচ্চ অনুপাতের ঋণ যাতে মোট ঋণের পনেরো শতাংশ না ছাড়ায়, সেই সীমা ঠিক রাখার সুপারিশও করেছে ব্যাংক।
দেশের অন্যতম বৃহৎ ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনওয়াইড এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করে, এতে সাধারণ মানুষের পক্ষে বাড়ির জন্য ঋণ পাওয়া সহজ হবে, যা বাড়ি নির্মাণ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ব্যাংকের ধারণা, নতুন নিয়ম কার্যকর হলে প্রতিবছর ছত্রিশ হাজারের মতো অতিরিক্ত ঋণ মঞ্জুর হতে পারে, যা উচ্চ ঋণ অনুপাতের আওতায় পড়বে।
অপরদিকে, যেসব পরিবার এরই মধ্যে বাড়ির ঋণ নিয়ে বসবাস করছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৩৬ লাখ পরিবার আগামী তিন বছরে ঋণ নবায়নের মুখোমুখি হবে। এতে মাসিক কিস্তি গড়ে একশ সাত পাউন্ড করে বাড়তে পারে।
তবে পূর্বাভাসের তুলনায় এই সংখ্যা ও মাসিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অর্থ উভয়ই কিছুটা কম হওয়ায় কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আগে যেখানে ধারণা করা হয়েছিল মাসে গড়ে একশ ছেচল্লিশ পাউন্ড বাড়বে, এখন তা কমে এসেছে।
একই সঙ্গে সুদের হার ধারাবাহিকভাবে কমায় ভবিষ্যতে কিছু পরিবারের জন্য মাসিক কিস্তির পরিমাণ কমতেও পারে। ব্যাংক জানিয়েছে, আগামী তিন বছরে প্রায় ২৫ লাখ পরিবার তাদের মাসিক ঋণ পরিশোধের অঙ্ক কমতে দেখবে।
এদিকে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
সংকটকালে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত মার্কিন মুদ্রার প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ায় ডলারের মান এক বছরের ব্যবধানে দশ শতাংশ কমেছে। অনেক বিনিয়োগকারী ও বড় কোম্পানি এখন ডলারের ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
১০ জুলাই ২০২৫