লেবার সরকারের প্রথম বছরে ইংল্যান্ডে নতুন বাড়ি নির্মাণের হার কমেছে, তবে গত ছয় মাসে নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য আবেদনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিবিসি ভেরিফাইয়ের হাউজিং ট্র্যাকার অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১২ মাসে ২,০১,০০০ নতুন বাড়ি প্রথম এনার্জি পারফরম্যান্স সার্টিফিকেট (EPC) পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮% কম।
প্ল্যানিং পোর্টালের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত লন্ডনের বাইরে নতুন বাড়ি নির্মাণের অনুমতি আবেদনের সংখ্যা ৪৯% বেড়েছে। সরকারি মুখপাত্র জানান, লেবার সরকার “গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদি হাউজিং সংকট” উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছে। তবুও তারা পরবর্তী নির্বাচনের আগেই ১৫ লাখ বাড়ি নির্মাণ এবং “বাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন পুনরুদ্ধার” করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আবেদন বাড়লেও অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুত না হলে নতুন বাড়ি নির্মাণ শুরু হতে পুরো সংসদীয় মেয়াদ লেগে যেতে পারে। এজন্য সরকার দ্রুত অনুমোদনের জন্য নতুন এআই টুল চালুর পরিকল্পনা করেছে, যা কাউন্সিলগুলোকে দ্রুত নথি স্ক্যান ও মূল্যায়নে সহায়তা করবে।
মিল্টন কিইনসের মতো কিছু এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণের হার লক্ষ্যের চেয়ে বেশি। তবে সাসেক্সের ইস্টবোর্নের মতো জায়গায় পরিস্থিতি ভিন্ন, যেখানে নির্ধারিত বার্ষিক লক্ষ্যের তুলনায় নির্মাণ অনেক কম। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সাশ্রয়ী বাড়ির অভাবে তরুণরা স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারছে না।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কনজারভেটিভ সরকারের শেষ দুই বছর এবং লেবার সরকারের প্রথম বছর মিলিয়ে নতুন বাড়ির সংখ্যা ক্রমাগত কমেছে। যদিও পরিকল্পনা অনুমতির আবেদন বেড়েছে, তবে সেগুলো বাস্তব বাড়িতে রূপ নিতে সময় লাগবে।
হাউজিং, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় পরিকল্পনা নীতি সংস্কার, পরিকল্পনা ও অবকাঠামো বিল বাস্তবায়ন এবং £৩৯ বিলিয়নের সামাজিক ও সাশ্রয়ী হাউজিং বিনিয়োগের মাধ্যমে এই সংকট সমাধানে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সরকার আশা করছে, নতুন উদ্যোগগুলো ভবিষ্যতে নির্মাণ হারের উন্নতি ঘটাবে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
৩১ জুলাই ২০২৫