যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফিস প্রায় এক পঞ্চমাংশ অর্থাৎ প্রতি ৫ পাউন্ডের ১ পাউন্ড আন্তর্জাতিক স্টুডেন্টদের টিউশন ফি হতে প্রাপ্ত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ অনুসারে, আর্থিক দিক বিবেচনায় বিদেশী টিউশন ফি’র উপর খাতটির ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা বাড়ছে।
পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসন বরাদ্দের হার স্থানীয়দের জন্য কম রাখার পরিকল্পনা করতে যাচ্ছে বলে খবরে জানা যায়। এতে যুক্তরাজ্যের স্থানীয় শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের চেয়ে কম আসন বরাদ্দ পাওয়ার শঙ্কা করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ হিসেবে তারা বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উচ্চতর টিউশন ফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মোট আয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশ বা তার বেশি পরিমাণে রয়েছে। তাই অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের দিকে বেশি ঝুঁকতে দেখা গিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রায় ৮০% বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলে খবরে জানা যায়।
রয়্যাল কলেজ অফ আর্ট (আরসিএ) এবং আর্টস লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় মতো খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের হতে প্রাপ্ত টিউশন ফি মোট আয়ের প্রায় ৫৪% বলে জানা যায়।
এদিকে, ইউনিভার্সিটি ফর ক্রিয়েটিভ আর্টস এবং হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক টিউশন ফি হতে আয় ১৩% থেকে বেড়ে ৩৩% এ উন্নীত হয়েছে।
হার্টফোর্ডশায়ারের উপাচার্য অধ্যাপক কুইন্টিন ম্যাককেলার বলেন, “ বিদেশী শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণবন্ততা এবং শক্তি নিয়ে আসে। তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে ব্যাপকভাবে প্রভাব রাখে। ”
উচ্চশিক্ষা পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের (এইচইএসএ) সর্বশেষ তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আয়ের উপর যুক্তরাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিকট হতে উচ্চতর টিউশন ফি নিয়ে থাকে। ব্রিটিশ কাউন্সিল হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী একজন বিদেশী শিক্ষার্থী স্নাতক কোর্সের জন্য বছরে গড়ে ২২,০০০ পাউন্ড প্রদান করে থাকে যা স্থানীয় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বা তারো বেশি।
এম.কে
১৬ জুলাই ২০২৩