পোর্টসমাউথ সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ অ্যাডি মো আসাদুজ্জামানকে প্রার্থী করায় রিফর্ম ইউকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। দলের অনুসারীদের একটি অংশ দাবি করেছে, ‘নন-ব্রিটদের’ কাউন্সিল নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।
২৩ বছর বয়সী আসাদুজ্জামান যুক্তরাজ্যে লিভ টু রিমেইন স্ট্যাটাসধারী এবং পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি বলেন, পোর্টসমাউথ এখন তার ঘর এবং বৈধভাবে বসবাস গড়ে তুলতে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। অবৈধভাবে দেশে প্রবেশকারীরা সুবিধা পাওয়ায় তার কষ্ট ও নিয়ম মেনে চলা অবমূল্যায়িত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার প্রার্থী মনোনয়নকে ‘দেশের জন্য হুমকি’ আখ্যা দিয়ে কিছু ব্যক্তি বলছেন, কোনো বিদেশে জন্ম নেওয়া ব্যক্তির রাজনৈতিক ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। অনেকেই রিফর্ম ইউকের প্রতি সমর্থন পুনর্বিবেচনার কথাও জানিয়েছেন।
এসব মন্তব্যকে “জঘন্য” ও “অপমানজনক” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পোর্টসমাউথে রিফর্ম ইউকের গ্রুপ লিডার কাউন্সিলর জর্জ ম্যাডগউইক। তিনি বলেন, আসাদুজ্জামান এমন অভিবাসনের প্রতিনিধিত্ব করেন যারা শিক্ষা নিয়ে আসে, পরিশ্রম করে, কর দেয় এবং স্থানীয় সমাজে যুক্ত হয়ে অবদান রাখে। তার মতে, এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে রিফর্ম ইউকে প্রকৃতপক্ষে ‘ফার রাইট’ রাজনীতির বিপরীত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, ব্রিটিশ নাগরিক না হলেও কমনওয়েলথভুক্ত দেশের যোগ্য নাগরিকরা বা যুক্তরাজ্যে ইনডিফিনিট লিভ টু রিমেইনধারীরা কাউন্সিলর ও এমপি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। ২০২৬ সালের মে মাসে পোর্টসমাউথ সিটি কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হবে। বর্তমানে সেন্ট্রাল সাউথসি আসনটি লেবার পার্টির দখলে রয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে

