9.5 C
London
May 8, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশযুক্তরাজ্য (UK)

রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তা বাড়াতে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের আহ্বান

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করলেন যুক্তরাজ্যের আইনপ্রণেতারা। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তা বাড়াতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা’ শীর্ষক এক বিতর্কে অংশ নিয়ে ওই আহ্বান জানান। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ওই বিতর্ক পরিচালনা করেন বেডফোর্ডের এমপি মোহাম্মদ ইয়াসিন। তিনি গত জানুয়ারিতে কক্সবাজার সফর করেন।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে লেবার, কনজারভেটিভ ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের উদারতার প্রশংসা করেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার। সেই সঙ্গে এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে সবার থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

 

 

 

বিতর্কে অংশ নিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলোতে অর্ধেকের বেশি শিশু। তারা প্রতিভা বিকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বেডফোর্ড ইস্টের এমপি ইমরান হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাহায্যের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার অর্ধেকও পাওয়া যায়নি, বিষয়টি হতাশার।

লাফবরোর এমপি জেন হান্ট বলেন, গত মার্চে তিনি বাংলাদেশ সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি সে সময় কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন। রোহিঙ্গা জনগণের ওপর মিয়ানমারের নিপীড়ন, বৈষম্য ও অত্যাচারের ফলে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ নারী-পুরুষ ও শিশু সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।

মিড ডার্বিশায়ার থেকে নির্বাচিত এমপি পলিন ল্যাথাম বলেন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কমিটি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কক্সবাজারে আশ্রয়শিবির তারা যারা পরিদর্শন করেছেন, তারা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। সেখানে আশ্রয় নেওয়া নারী ও মেয়েশিশুদের চরম ক্ষুধা এবং সহিংসতা থেকে রক্ষায় যুক্তরাজ্যের সাহায্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তা তারা দেখেছেন।

 

 

 

 

 

ইপসুইচের আইনপ্রণেতা টম হান্ট বলেন, ‘আমি তিনবার বাংলাদেশ সফরের সুযোগ পেয়েছি। তিনবারই রোহিঙ্গা শিবিরে গেছি। শিবিরে লোক বেড়েছে। আমি মনে করি, সেখানে আমাদের সহায়তা আরও বাড়ানো উচিত।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ ও জাতিসংঘের প্রস্তাবের মাধ্যমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। তবে হতাশার বিষয় হলো অনেক দেশ মিয়ানমার সরকারের নিন্দায় বড় ভূমিকা পালন করেনি। মিয়ানমার সরকারের নিন্দায় ভারত ও পাকিস্তান কী ভূমিকা নিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’

রোহিঙ্গাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির শুরু থেকেই যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন, তাদের ধন্যবাদ জানান ব্রিটিশ এমপি সারাহ চ্যাম্পিয়ন।

বাংলাদেশ স্টাডি সার্কেলের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোজাম্মেল আলী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ উদারতা দেখিয়েছে। ব্রিটিশ এমপিরাও সেটি উল্লেখ করলেন। তবে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়ের বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদে চলতে পারে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সম্মানের সঙ্গে তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত।

আরো পড়ুন

লন্ডনে মৎস্য রপ্তানিকারকদের প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক

বিশ্বের ১৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে সিলেটের গোয়ালগাদ্দা শিম

বাংলাদেশে গ্যাস সংকট, চাকরি হারানোর শঙ্কায় ৩ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক