6.9 C
London
March 28, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

শামীমা বেগমের বৃটিশ নাগরিকত্ব মামলার আপিল খারিজের সিদ্ধান্তে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

উল্লেখ্য যে, পূর্ব লন্ডনের তিন স্কুল ছাত্রী শামীমা বেগম, খাদিজা সুলতানা এবং আমিরা আবাসি ২০১৫ সালে ইংল্যান্ড হতে সিরিয়ায় পালিয়ে যান ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীতে যোগ দেয়ার জন্য। কানাডার একজন উর্ধতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, বৃটিশ বালিকাদের আইএসের কাছে পাচার করেছিল কানাডার একজন গুপ্তচর। সেসময় শামীমা বেগমের বয়স ছিল ১৫ বছর। অপর দুজনের বয়সও ছিল যথাক্রমে ১৬ এবং ১৫।
বৃটিশ বালিকাদের ইস্তাম্বুলের প্রধান বাস স্টেশনে মোহাম্মদ আল রশিদ নামে এক ব্যক্তির দেখা যায় বলে খবরে জানা যায়। এই ব্যক্তি তাদের সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যেতে সাহায্য করে।
মোহাম্মদ আল রশিদ যখন এভাবে সিরিয়ায় লোকজনকে পাচার করছিল তখন সে কানাডার একটি নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার জন্য কাজ করতো। এই তথ্য পাওয়া যায় একজন উর্ধ্বতন নিরাপত্তা গোয়েন্দা কর্মকর্তা হতে। যিনি ইসলামিক স্টেটকে দমনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক জোটের অন্তর্ভুক্ত এক সংস্থায় কাজ করেন।
একটি খবরে জানা যায় নাগরিকত্ব ধরে রাখতে লড়াইরত ব্রিটিশদের সংখ্যা বাড়েছে যারা বিভিন্ন প্ররোচনার ফাঁদে পা দিয়ে ভুল রাস্তায় পা মাড়িয়েছিল।
পর্যবেক্ষক দ্বারা প্রাপ্ত রেকর্ড অনুসারে, অন্তত ৭৫ জন ব্যক্তি গত বছর তাদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য হোম অফিসের আদেশগুলির বিরুদ্ধে আপিল করে নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছিলেন।
গত সপ্তাহে শামীমা বেগম(২৩), তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব অপসারণের হোম অফিসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের মামলা আদালত খারিজ করে দেয়। যা জনমনে ক্ষোভের জন্ম দেয়।
কানাডিয়ান নিরাপত্তা পরিসেবাগুলির একজন প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান একজন ডাবল এজেন্ট শামীমাকে আইসিস অঞ্চলে পাচার করে। শামীমা বেগমের আপিল খারিজ করা রায় বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। তার মতে শামীমা একজন শিশু ছিল এবং তাকে সিরিয়ায় পাচার করা হয়েছিল; যুক্তরাজ্য নিজের দেশের নাগরিকের ব্যাপারে যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
শামীমার আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে শামীমা এখন রাষ্ট্রহীন। এমন সিদ্ধান্ত বেআইনি। সিদ্ধান্তটি শামীমার জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলবে, অমানবিক আচরণের শিকার হবেন তিনি।
মাইগ্রেন্টস রাইটস নেটওয়ার্কের সিইও ফিজ্জা কোরেশি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনে কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব তখনই কেবল বৈধ উপায়ে বাতিল করা যাবে, যখন তার অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব থাকবে। কাউকে রাষ্ট্রহীন হওয়ার ঝুঁকিতে রাখা উচিত নয় বলেও তিনি নিজের মতামত জানান।
এম.কে
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আরো পড়ুন

বাংলাদেশের ওপর আমদানি-রফতানি নিষেধাজ্ঞা দিলো সাইটিস

যেভাবে ক্রিকেট ধ্বংসের পায়তারা করছে আইপিএল

আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত