0.8 C
London
November 20, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিকশীর্ষ খবর

সুইডেনে শরনার্থী শিশু হামিদের অর্থ সংগ্রহের রেকর্ড

কাগজের ফুল বিক্রি করে সুইডেনের শরণার্থী শিশু মুরফাহ হামিদ একটি দাতব্য সংস্থার জন্য রেকর্ড পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে৷ এমন খবরে সকলের মন জয় করে নিয়েছে এই শিশুটি৷

বাৎসরিক মে ফ্লাওয়ার ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশ সুইডেনে কাগজের ফুল বিক্রি করে থাকে স্কুলের শিশুরা৷ ফুল বিক্রির অর্থ দাতব্য সংস্থায় জমা করা হয়৷

প্রতি বছরের মতো এই উপলক্ষ্যে এবারও কাগজের ফুল বিক্রি করছিল শিশুরা৷ আর এবছর ফুল বিক্রি করে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে হামিদ৷ মজার বিষয় হলো দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কাছেও ফুল বিক্রির সুযোগ পেয়েছে সে৷

 

 

 

 

হিসাব অনুযায়ী, প্রত্যেক শিশু এই সময়টিতে ফুল বিক্রি করে গড়ে একশ ২৬ ডলার করে সংগ্রহ করে থাকে৷ কিন্তু হামিদের অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৩৩ হাজার ডলার৷

নিয়মানুযায়ী, সংগৃহীত অর্থের শতকরা দশ ভাগ পেয়ে থাকে শিশুরা৷ তাছাড়া ক্রেতা কোনো উপহার বা বখশিস দিলে তা-ও শিশুকে দেওয়া হয়৷

হামিদের সংগৃহীত অর্থের পরিমাণের বিষয়ে দাতব্য সংস্থাটির প্রধান আসে হেনেল বলেোন, ‘‘প্রায় একশ বছর ধরে আমরা দাতব্য সংস্থা চালাচ্ছি৷ এমনটা কখনো দেখিনি৷’’

হামিদের জন্ম সুইডেনে৷ আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া থেকে সুইডেনে পাড়ি জমিয়েছেন তার বাবা-মা৷

 

 

 

হামিদ জানায়, অর্থ সংগ্রহের প্রথম দিনে সে পাঁচ ঘণ্টায় অল্প কয়েকটি ফুল বিক্রি করেতে পেরেছিল৷ সেসময় কয়েকজন তাকে রাস্তা থেকে সরে যেতেও বলেছিল অর্থাৎ তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিল৷

ব্যাপারটি সে তার পরিবারের এক বন্ধুকে জানালে, এ বিষয়ে তারা ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়৷

এরপর থেকে ফেসবুকে হামিদের সমর্থনে পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়৷ যদিও অনেকে আবার বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যও করছিল৷

হামিদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন দেশটির রাজনীতিবিদেরাও৷ এমনকি প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টেরসন সামাজিক মাধ্যমে হামিদকে সমর্থন করেন এবং তার কাছ ফুল কেনেন৷

 

 

 

অবশ্য লায়লা রহমান যিনি ফুসবুকে পোস্টটি দিয়েছিলেন তিনিও ভাবেননি বিষয়টি এভাবে সাড়া ফেলবে৷ তিনি বলেন, আমি আগে অনেক পোস্ট দিয়েছি কিন্তু কোনোটিই ভাইরাল হয়নি৷

তিনি বলেন, এটি আসলে এ বিষয়ে অর্থাৎ ১১ বছরের একটি শিশু যে এখানে জন্মগ্রহণ করেছে কিন্তু তার বাবা-মায়ের আশ্রয়ের আবেদন এখনো প্রক্রিয়াধীন সে বিষয়ে সচেতনা তৈরি করবে৷

সুইডেনের নিয়ম অনুযায়ী, বাবা-মায়ের রেসিডেন্সি স্ট্যাটাস না থাকলে সন্তানেরা শুধু জন্মসূত্র প্রয়োজ্য হবে না৷

বিষয়টি নিয়ে সম্ভবত ১১ বছরের হামিদও উদ্বিগ্ন৷ স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, হামিদ তার মাকে জিজ্ঞেস করছে- সুইডেনের স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি কেনা যায় কি না৷?

 

 

আরো পড়ুন

মুফতি কাজী ইব্রাহীমকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ

২০২০ সালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর প্যারিস

অনলাইন ডেস্ক

আন্তর্জাতিক পর্যটকদের উপর কর প্রায় ৩ গুণ করছে নিউজিল্যান্ড