স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামজা ইউসুফ দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তিনি প্রথম নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) এই নেতা নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী। সদ্য প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা নিকোলা স্টারজনের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
হামজা ইউসুফ গত ২০ ফেব্রুয়ারি গ্লাসগো থেকে প্রায় ৮ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ক্লাইডব্যাংক শহর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। একসময় জাহাজ নির্মাণে প্রসিদ্ধ এই শহরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে তার কাছে। কারণ ১৯৬২ সালে তার দাদা মোহাম্মদ ইউসুফ স্কটল্যান্ডে এসে এখানেই প্রথম চাকরি শুরু
করেছিলেন।
অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈচিত্র্যময় নীতির প্রশংসা করে হামজা ইউসুফ বলেন, ‘আমার দাদা কখনো কল্পনা বা স্বপ্নেও দেখেননি যে তার নাতি স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নির্বাচন করবে। আমি বিশ্বাস করি, সব ধরনের বিভক্তি দূর করার প্রয়োজনীয় দক্ষতা আমার রয়েছে।’
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী স্টারজনের সামাজিক প্রগতিশীল নীতিকে সমুন্নত রাখাতে অঙ্গীকারের কথা জানান তিনি।
এদিকে ৫৭ বছর বয়সী স্কটিশ সংস্কৃতি সচিব অ্যাঙ্গাস রবার্টসন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন। তাই ৩৭ বছর বয়সী স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামজা ইউসুফের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন ৩২ বছর বয়সী কনজারভেটিভ অর্থমন্ত্রী কেট ফোর্বস। তারা উভয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।
স্কটল্যান্ডে প্রায় ৭৫ হাজার মুসলিম বসবাস করেন। তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বসবাস গ্লাসগো শহরে। দেশটিতে মুসলিমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। দেশটিতে প্রায় ৩০টির মতো মসজিদ রয়েছে।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ ২০২১ সাল থেকে স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ছিলেন স্কটিশ সরকারের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ মন্ত্রী। ২০১৬ সালে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) সদস্য হিসেবে গ্লাসগো পোলোকের স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি গ্লাসগো অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন। এসএনপি জানিয়েছে, আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে, যা ২৭ মার্চ শেষ হবে।
এম.কে
১৪ মার্চ ২০২৩