কোরবানি ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণ করেছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সময় বাড়ানো হলেও নিবন্ধনের সংখ্যা ৫০ হাজারের কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ বর্তমানে প্রাক-নিবন্ধন করেছেন কিন্তু হজে যাচ্ছেন না এমন মানুষের সংখ্যা বেশি। ফলে হাজিদের নিয়ে প্রতিবছরের ব্যস্ততা এবার দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে হজের অস্বাভাবিক ব্যয় কমাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (এটাবি) সভাপতি এসএন মনজুর মোরশেদ। তিনি জানান, এ বছর হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা।
এবারের হজের খরচ নজিরবিহীন। হজ ব্যয় ৫ লাখের নিচে রাখতে পারলে কোটা পূরণ হতো। এয়ারলাইন্স সহ সবাই উপকৃত হবে। এখন ৫০ হাজারও না হলে দিন শেষে লোকসান বেশি হবে এয়ারলাইন্সগুলোর। পরিস্থিতি এখন সেদিকেই যাচ্ছে।
অন্যদিকে হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, হাবের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই এয়ারলাইন্সগুলো তাদের ভাড়া বাড়িয়েছে। ডলার ও রিয়ালের দাম বাড়ায় হজের খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু সে হারে তেলের দাম বাড়েনি।
প্রসঙ্গত, এ দিকে হটাৎ করে হজ নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়া নিয়ে তৈরী হয়েছে নানা ধরনের সংশয় আর আলোচনা। বিশেষ যারা এই বাড়তি অর্থ বহন করতে পারছেন না তাদের মধ্যে রয়ে গেছে হজে যেতে না পাড়ার আক্ষেপ।
এম.কে
০১ মার্চ ২০২৩