ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা মহামারিতে ভূমিকা রাখা ১২ হাজারেরও বেশি বিদেশি ফ্রন্ট লাইন কর্মীকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ফরাসি সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক প্রতিনিধি মারলেন শিপা বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ কথা জানিয়েছেন।
করোনা মহামারিতে ভূমিকা রাখা ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য ব্যতিক্রমী ব্যবস্থায় দ্রুত নাগরিকত্ব প্রদানের এই প্রক্রিয়াটি ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ফ্রান্সে এই বিশেষ সুবিধা চালু হওয়ার এক বছর পর, ফ্রান্স জুড়ে সর্বমোট ১৬,৩৮১টি আবেদন জমা হয় এবং সেখান থেকে যাচাই বাছাই করে ১২ হাজার ১২ জন বিদেশি নাগরিককে ইতিমধ্যে ফরাসি জাতীয়তা প্রদান করা হয়েছে।
সাধারণত ফ্রান্সে নাগরিকত্বের আবেদন করতে একজন অভিবাসীকে কমপক্ষে পাঁচ বছর বৈধভাবে ফরাসি ভূখণ্ডে থাকতে হয়। সাথে চাকরি, ভাষাসহ অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য বিশেষ আইনে পাঁচ বছর থাকার সময়কাল কমিয়ে মাত্র ২ বছর করা হয়। যার ফলে বিপুল সংখ্যক বিদেশি কর্মী অত্যন্ত দ্রুত আবেদন করে নাগরিকত্ব আবেদন পেতে সক্ষম হয়েছেন।
বিশেষ এই উদ্যোগের আওতায় স্বাস্থ্য পেশাজীবী, নিরাপত্তা বা রক্ষণাবেক্ষণ কর্মকর্তা, শিশু সেবা, দোকানের হিসাবরক্ষক ও বিক্রয় কর্মকর্তা, গৃহস্থালি কাজের সাহায্য কর্মী, আবর্জনা সংগ্রহকারীসহ বিভিন্ন পেশার ফ্রন্টলাইন কর্মীদের ফরাসি নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
সূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্ট