২০২৬ সালে পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে রাজনৈতিক অঙ্গনে সরব আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় জনগণও নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
লেবার পার্টি ইতোমধ্যে কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামকে তাদের মেয়র প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সিরাজুল ইসলাম টাওয়ার হ্যামলেটসের স্থানীয় রাজনীতিতে একটি পরিচিত নাম। লেবারের এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্থানীয় জনগণের উন্নয়নে কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। লেবার পার্টির পক্ষ থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ তার সংগঠন দক্ষতা এবং কমিউনিটির সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক।
নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার আগেই লেবার দলের এই ঘোষণাকে ঘিরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিরাজুল ইসলামের মনোনয়ন লেবার পার্টিকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে, পূর্ব লন্ডনের বাঙালি সম্প্রদায়ের সমর্থন তার পক্ষে কাজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলও মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য কাজ শুরু করেছে। এখনো কারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন তা স্পষ্ট নয়, তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনে কমিউনিটির ভোটই ফলাফল নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র নির্বাচন সবসময়ই যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২৬ সালের নির্বাচনও এর ব্যতিক্রম নয়। লেবারের প্রার্থী ঘোষণার মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচনী উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় জনগণ এখন নজর রাখছে নির্বাচনী প্রচারণা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পদক্ষেপের দিকে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রচারণা আরো তীব্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২৬ সালের নির্বাচনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মানুষ কাদের ওপর আস্থা রাখবেন, তা সময়ই বলে দেবে। তবে লেবার দলের প্রার্থী হিসেবে সিরাজুল ইসলামের নাম ঘোষণা রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন মোড় দিয়েছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
২৯ জুলাই ২০২৫