বর্তমান সময়ে মোবাইল মানুষের জীবনের একটা অপরিহার্য বস্তু হয়ে উঠেছে। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন যা মোবাইল ফোনের ভবিষ্যতকে অনিশ্চিয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
আজকের আধুনিক যুগে প্রযুক্তি খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিপ্যাড ছেড়ে আমরা পৌঁছে গেছি টাচপ্যাডে। এমতাবস্থায় মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এক বিশেষ ধরনের দাবি রেখেছেন। বিল গেটস বলেছেন আগামী সময়ে, ইলেকট্রনিক ট্যাটু স্মার্ট ফোনের জায়গা নিতে পারে, যার কারণে স্মার্ট ফোনগুলি বাজার থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই ইলেকট্রনিক ট্যাটুগুলি “ক্যায়োটিক মুন” নামে একটি সংস্থা চালু করেছে, যা এক ধরণের জৈব প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে ট্যাটু তৈরি করে।
এই ট্যাটুগুলির মাধ্যমে, মানবদেহ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যার কারণে এগুলি বর্তমানে খেলাধুলা এবং চিকিৎসা লাইনে ব্যবহৃত হচ্ছে। সংস্থাটি জানায়, এই ট্যাটুগুলি নিয়ে আরো নানান ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষা তারা করছে যা ভবিষ্যতে স্মার্ট ফোনের জায়গা নিতে পারে।
নোকিয়া কোম্পানির সিইও পেক্কা লুন্ডমার্কও স্মার্ট ফোনের অদৃশ্য হওয়ার বিষয়ে একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন, যার মতে 6G প্রযুক্তি ২০৩০ সাল নাগাদ শুরু হবে এবং সেই সময়ে স্মার্ট ফোন তার সাধারণ ইন্টারফেসে থাকবে না। নোকিয়ার সিইও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মোবাইল ফোনের জায়গায় স্মার্ট চশমা বা অন্য কোনো ধরনের পণ্য ব্যবহার করা হবে, যা সরাসরি আমাদের শরীরের সাথে কানেক্টেড হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভবিষ্যতে এই বিষয়টি আমাদের জীবনকে আবার পুরোপুরি বদলে দেওয়ার কাজ করবে।
এম.কে
১৮ জুন ২০৩৩