7.2 C
London
December 22, 2024
TV3 BANGLA
ইউরোপশীর্ষ খবর

৭০ বছর পর আদিবাসী শিশুদের কাছে ডেনিস প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা

গ্রিনল্যান্ডিক আদিবাসী ইনুইট দলের সদস্যদের তাদের পরিবার থেকে ১৯৫০-এর দশকে সরিয়ে দেওয়ার কারণে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী । ২২ ভাগ্যবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে বর্তমানে বয়োবৃদ্ধ অবস্থায় মাত্র ৬ জন জীবিত আছে।

 

৭০ বছরেরও বেশি আগে ডেনিশ-ভাষী অভিজাত তৈরির একটি পরীক্ষার অংশ হিসাবে তাদের কোপেনহেগেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

 

‘আপনারা যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তা ভয়ানক ছিল। অমানবিক ছিল। অন্যায় ছিল, এবং এটি হৃদয়হীন ছিল।’ রাজধানীতে একটি আবেগপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই দলের ছয়জন জীবিত সদস্যকে বলেন ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন, ‘আমরা এর দায় নিতে পারি এবং একমাত্র কাজটি করতে পারি যা আমার চোখে ন্যায্য: যা ঘটেছে তার জন্য আমরা কাছে দুঃখিত।’

 

১৯৫১ সালে, পাঁচ থেকে আট বছর বয়সী ২২ জন ইনুইট শিশুকে ডেনমার্কে পাঠানো হয়েছিল, যেটি সেই সময়ে গ্রিনল্যান্ডের ঔপনিবেশিক শক্তি ছিল কিন্তু তারপর থেকে তারা স্বায়ত্তশাসন লাভ করেছে।

কোপেনহেগেন এবং গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুকের কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি চুক্তিতে অভিভাবকদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে তাদের সন্তানেরা আরও ভাল জীবন পাবে, ড্যানিশ শিখবে এবং ভবিষ্যতের অভিজাত হিসাবে একদিন গ্রিনল্যান্ডে ফিরে আসবে।

 

ডেনমার্কে, শিশুদের তাদের নিজের পরিবারের সাথে কোনও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। দুই বছর পর, দলের ১৬ জনকে গ্রিনল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু একটি অনাথ আশ্রমে রাখা হয়েছিল। অন্যদের ডেনিশ পরিবার দত্তক নিয়েছিল। অনেক শিশু তাদের আসল পরিবারকে আর কখনও দেখেনি।

 

তাদের ভাগ্য সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানে উপসংহারে এসেছে যে অর্ধেকেরও বেশি পরীক্ষা দ্বারা খুব বাজেভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। ২২ জনের মধ্যে মাত্র ছয়জন আজ জীবিত। পরীক্ষাটি পুরোপুরি বিফলে যায়, তবে তার দাগ আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়েছিলো সেই দুর্ভাগা শিশুদের।

 

১৩ মার্চ ২০২২
এনএইচ

আরো পড়ুন

তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট দিবে সরকার

করোনা-পরবর্তী ৪০ শতাংশ রোগীর মধ্যে জটিলতা

 বিশ্বের নতুন ‘কোভিড হটস্পট’ ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক