স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান, অবৈধভাবে যে সকল আইনজীবীরা আশ্রয়প্রার্থীদের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তাদের জন্য কঠোর বার্তা প্রদান করেছেন। আইনভঙ্গ করার দায়ে তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রচেষ্টা তিনি চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিছু আইনজীবী টাকা উপার্জনের উদ্দেশ্যে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকার সুযোগ করে দেয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারের পর এই বিষয় হোম অফিসের নজরে আসে বলে ব্রিটিশ মিডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়।
একটি নতুন টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এইসব জাল কাগজপত্র বানিয়ে যারা প্রতারণা করে যাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। টাস্কফোর্স কয়েক মাস ধরে প্রাথমিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানা যায়। হোম অফিস জানায় টাস্কফোর্স মামলার জন্য শক্তিশালী প্রমাণের ভিত্তি তৈরি করতে সহায়তা করবে।
তবে আইন সোসাইটির মতে এসাইলাম প্রার্থীদের মামলার ব্যাকলগ গুলি শেষ না করে ছোট বিষয়ের উপর মনোনিবেশ করা হাস্যকর।
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সলিসিটারদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা জানায় আইনজীবীদের অবৈধ কাজ ধরতে তাদের প্রতিষ্ঠানই যথেষ্ট, সরকারের এতে মাথা না ঘামালেও চলবে।
আইন সোসাইটির ডেভিড ম্যাকনিল ব্রিটিশ মিডিয়াকে জানান, টাস্কফোর্স কয়েক মাস ধরে কাজ করে যাচ্ছে এবং তাদের কাজ দেখে মনে হচ্ছে আইনজীবীরা সব তাদের শত্রু ও সমাজ ধ্বংসকারী।
লেবার দলের ছায়া মন্ত্রী স্টিভ রিড বলেন, ইমিগ্রেশন বিষয়ে টোরিদের কাজ কিছুই হচ্ছে না, কাজ দেখে মনে হচ্ছে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। এসাইলাম ব্যাকলগ শেষ করার কোনো ইচ্ছেই টোরিদের আছে তা তাদের কাজ দেখে মনে হয় না।
সরকার বলেছে, জালিয়াতি উপায়ে যুক্তরাজ্যে থাকতে সাহায্য করার জন্য যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। বেআইনী মাইগ্রেশনকে সহায়তা করার জন্য সর্বাধিক সাজা হ’ল ইমিগ্রেশন আইন ১৯৭১ অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
সলিসিটারস রেগুলেশন অথরিটি আইনজীবীদের সকল ধরনের প্রতারণা থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। মনোযোগের অভাবের কারণেও যেনো কোনো কাজ হতে আইনভঙ্গের ঘটনা না ঘটে সেদিকেও নজর দেয়ার জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়।
হোম অফিস জানায়, টাস্কফোর্সকে সন্দেহভাজন কার্যকলাপ সনাক্ত করতে এবং প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা পেতে ইমিগ্রেশন সিস্টেমে কাজ করা কর্মীদের দ্বারা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে সরকার।
এম.কে
১০ আগস্ট ২০২৩