TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাই যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে জীবিত রাখে

যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছাড়া চলতে পারবে না, বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ক্যারোলিন বেইলন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপর নির্ভরশীল।

হোম অফিসের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩/২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদন গত ১২ মাসের তুলনায় ১৪% কমেছে।

সরকারের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে “কঠোর সিদ্ধান্ত” নিয়েছে, তবে অভিবাসনও কমাতে হবে।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো ফি সীমা নেই, তাই তাদের জন্য টিউশন ফি অনেক বেশি হতে পারে এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে বলে জানা যায়।

কিন্তু গত কনজারভেটিভ সরকার শিক্ষার্থী ভিসার নিয়ম কঠোর করেছিল অভিবাসন কমানোর লক্ষ্যে, যার ফলে গত বছর হতে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন কমে যায়।

মিস বেইলন বলেন, “আমরা কেবলমাত্র সরকার এবং যুক্তরাজ্যের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে চলতে পারব না।

আমরা যদি বিশ্বের সেরা মেধাবীদের আকর্ষণ করতে না পারতাম, তাহলে সেরা ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় থাকতে পারতাম না।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বার্কশায়ারের স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

তিনি বলেন, “আমরা সাংস্কৃতিক বিনিয়োগের পাশাপাশি আর্থিক বিনিয়োগ হারাতাম যদি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা না থাকত।”

মিস বেইলন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এজেন্টদের সঙ্গে কাজ করে এবং বৃত্তি ও স্কলারশিপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে আসতে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন দেশে অফিস ও কর্মী নিয়োগ দিয়েছে।

বড় অংশের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা স্নাতক হওয়ার দুই বছরের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরে যায়। যারা থাকে, তারা সাধারণত পূর্ণকালীন কর্মসংস্থানে নিযুক্ত হয়।”

ইউনিভার্সিটিজ ইউকে অনুসারে, জাতীয়ভাবে প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করার পরপরই নিজ দেশে ফিরে যায়।

ইউনিভার্সিটিজ ইউকে-এর এক মুখপাত্র বলেন, “যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় গন্তব্য, যা আমাদের উচ্চশিক্ষা খাতের শক্তি ও বৈশ্বিক খ্যাতির প্রতিফলন।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে অসাধারণ অবদান রাখে এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের প্রভাব বৃদ্ধি করে।”

মিস বেইলন বলেন, “আমাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করার পর বেশিরভাগই নিজ দেশে ফিরে গিয়ে যুক্তরাজ্য এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হয়ে ওঠে।”

হোম অফিস বলেছে, “আমরা পরিষ্কার করে বলেছি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সর্বদা স্বাগত।”

কিন্তু আরো এক মুখপাত্র যোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেট অভিবাসনের মাত্রা “অগ্রহণযোগ্য” ছিল এবং আমরা “আমাদের ভঙ্গুর অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে” চাই।

সূত্রঃ বিবিসি

এম.কে
০৯ মার্চ ২০২৫

আরো পড়ুন

সৌদিতে চাকরি খুঁজছেন টরি এমপি

ব্রিটেনে অভিবাসীদের জন্য আসছে কঠিন সময়

বেলারুশের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা