জার্মানির অর্থনীতি ক্রমেই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি বদলের লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। গত কয়েক বছরে একাধিক সঙ্কটে ইউরোপের কেন্দ্রের দেশটির ব্যবসার ধরনের দুর্বলতা ফুটে উঠেছে।
চলতি শতকের শুরুর দিকে ব্যবসা-বিষয়ক ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ‘দ্য ইকোনোমিস্ট’ জার্মানির অর্থনীতি সম্পর্কে একটি রায় দিয়েছে। পত্রিকাটির মতে, জার্মানি হচ্ছে ইউরোপের ‘সিক ম্যান’।
ইংরেজি এই বাগধারার অর্থ হচ্ছে কোনো এক শক্তিশালী গোষ্ঠীর সবচেয়ে দুর্বল সদস্য। প্রভাবশালী পত্রিকাটির এমন মূল্যায়নের পর নড়ে-চড়ে বসে জার্মান সরকার, নেয়া হয় বিভিন্ন উদ্যোগ।
মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা-বিষয়ক ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট ক্লিমেন্স ফ্যুস্ট এই বিষয়ে বলেন, ‘জার্মানির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হচ্ছে।’
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য সংস্থাটি প্রতিমাসে নয় হাজারের মতো নির্বাহীর ওপর সমীক্ষা পরিচালনা করে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তিন মাস ধরে পরিস্থিতি নিম্নমুখী এবং চলতি কোয়ার্টারে জিডিপি আরো নিচের দিকে নামবে।
জার্মানিকে মূলত পিছিয়ে রেখেছে অবকাঠামোগত সমস্যা। দেশটির অর্থনীতির ধরন হচ্ছে, সস্তায় জ্বালানি, কাঁচামাল এবং পুরোপুরি প্রস্তুত নয় এমন পণ্য আমদানি করে সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করে উচ্চমানের এবং দামি পণ্য হিসেবে রফতানি করা। কিন্তু ব্যবসার এমন ধরন আর কাজ করছে না। গত কয়েক বছরের একাধিক সঙ্কট জার্মানির দুর্বলতা ফুটিয়ে তুলেছে। জ্বালানি বেশি দরকার এমন প্রতিষ্ঠানগুলো জ্বালানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছে। আর খরচ বেড়ে যাওয়ায় যেসব প্রতিষ্ঠান উৎপাদন প্রক্রিয়া অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে তার আর ফিরে আসছে না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জার্মানির অর্থনীতিকে আবারো শক্তিশালী করতে হলে জ্বালানি সাশ্রয়ী উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে। এরজন্য অতীতের প্রযুক্তি বাঁচাতে বিনিয়োগ না করে নতুন প্রযুক্তির দিকে নজর দিতে হবে যা সাশ্রয়ী এবং কার্যকর।
এম.কে
০৪ আগস্ট ২০২৩