‘আমি মনে করি না আমি কোনো সন্ত্রাসী। আমি ছিলাম বোকা শিশু, যে একটি ভুল করে ফেলেছে’।
এভাবেই নিজের ভুলের কথা ব্যক্ত করেন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামি স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইসিস) প্রাক্তণ সদস্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম। পাশাপাশি, একই ভুল করে বসা আইসিসের অন্যান্য প্রাক্তন সদস্যকে পুনর্বাসনে সাহায্য করতে চান শামীমা।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না আমার পুনর্বাসনের দরকার আছে। তবে আমি অন্যদের পুনর্বাসনে সাহায্য করতে চাই। তাদেরকে সাহায্য করতে পারলে আমি খুশি হতাম।
সিরিয়ার আল-রোজ কারাশিবিরে সাংবাদিক ও ফিল্মমেকার অ্যান্ড্রু ড্রুরির সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ২১ বছর বয়সী শামীমা।
ওই সাক্ষাৎকারে তাকে জিন্স এবং বেসবল ক্যাপ পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। নিজের পশ্চিমা পোশাকের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি এরকম পোশাকই পরি এবং হিজাব পরি না, কারণ এটি আমাকে আনন্দ দেয়।
এছাড়াও নিজের সম্পর্কে কিছু অপ্রকাশিত তথ্য খোলাসা করেন শামীমা। তিনি জানান, সঙ্গীতশিল্পী কাইনি ওয়েস্টের গান ভালোবাসেন তিনি। সম্প্রতি টিভি তারকা কিম কার্ডাসিয়ানের সঙ্গে কাইনি ওয়েস্টের বিবাহ বিচ্ছেদের নিউজ ক্যাম্পের বন্ধুদের নিয়ে দেখেছেন।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুলের দুই সহপাঠীর সঙ্গে পূর্ব লন্ডনের বাড়ি থেকে পালিয়ে আইসিসে যোগ দেন শামীমা। তখন তার বয়স ১৫। বন্ধুদের সঙ্গে টার্কিস এয়াসলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে গ্যাটউইক থেকে ইস্তানবুল হয়ে সিরিয়া পৌঁছান।
সিরিয়ায় গিয়ে একজন ডাচ জিহাদি তাকে বিয়ে করে। শামীমা তিনবার সন্তান জন্মদান করলেও, বাচ্চাগুলো রোগে বা অপুষ্টিতে মারা যায়। তার স্বামী সিরিয়ার আরেকটি কারাগারে রয়েছে বলে জানা যায়।
এই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে অ্যান্ড্রু ড্রুরি জানান, শামীমার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর সন্ত্রাসবাদী হয়ে ওঠা সম্পর্কে ধারণা পালটে গেছে তার।
তিনি মনে করেন শামীমাকে যুক্তরাজ্যে ফেরত নেওয়া হোক এবং সেখানেই তার অপরাধের জন্য শাস্তি ভোগ করতে দেওয়া উচিৎ।
বর্তমানে নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে শামীমাকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তার ব্রিটিশ নাগরিকত্বও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
১৬ জুন ২০২১
এনএইচ
সূত্র: মেইল অনলাইন, ইনডিপেন্ডেন্ট