বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যুক্তরাজ্য এবং সুইজারল্যান্ডের তাপমাত্রা ৩০% বৃদ্ধি পেতে পারে।বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে মধ্য আফ্রিকায় সামগ্রিকভাবে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। উত্তর ইউরোপীয় দেশগুলোতেও অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হবে বলে জানায় গবেষকরা।
ইউকে মেট অফিস জলবায়ু মডেলিং তথ্যের ভিত্তিতে জানায়, উত্তর ইউরোপীয় দেশগুলোর জনগণ এবং অবকাঠামো গরম আবহাওয়ার জন্য মোটেও প্রস্তুত নয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী এই দেশগুলিতে চরম হিটওয়েভ দেখা দিতে পারে, যুক্তরাজ্যেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হবে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে যার প্রভাব ইউরোপে বেশি পড়বে। তাপমাত্রার আপেক্ষিক বৃদ্ধির কারণে ১০টি দেশের মধ্যে আটটি উত্তর ইউরোপে হবে বলে গবেষকরা মনে করেন।
গবেষকরা বলেন গ্রীষ্মের সময় ইউরোপের বাড়ি ঘরগুলি অস্বস্তিকর গরম হয়ে উঠে এবং অবকাঠামোগত কারণে তাপমাত্রা মোকাবেলায় বিকল্প প্রস্তুতি নেই বললেই চলে।
এই তাপমাত্রার মোকাবেলার জন্য শীতল কোনো ব্যবস্থা নেই তাছাড়া প্রাকৃতিক বায়ু চলাচলের জন্য বিশেষ কোনো পরিকল্পনাও নেই।
অক্সফোর্ডের স্মিথ স্কুল অফ এন্টারপ্রাইজের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ রাধিকা খোসলা বলেছেন, ” এয়ার কন্ডিশনার কোনো সমাধান নয় বরং তা সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে এয়ার কন্ডিশনারও একটি উপাদান।”
লেখক ডাঃ নিকোল মিরান্ডা যোগ করেছেন: “ উত্তর ইউরোপীয় দেশগুলিতে অতিরিক্ত তাপমাত্রা মোকাবেলায় বড় আকারের অভিযোজনের প্রয়োজন রয়েছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা হতে ডিহাইড্রেশন কিংবা তাপ ক্লান্তি হতে মৃত্যুও ঘটতে পারে। বিশেষত বৃদ্ধ ও শিশুরা এই তাপদাহ সহ্য করতে পারবে না। ভবিষ্যতে হিটওয়েভর প্রভাব ইউরোপে আরো বাড়বে তাই এখন হতেই গ্রীষ্মের মোকাবেলা জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করা জরুরি । “
এম.কে
১৪ জুলাই ২০২৩