TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

ইস্টার সানডে হামলার সন্দেহভাজনের ব্রিটেনে আশ্রয় মামলার পুনরায় শুনানি

শ্রীলঙ্কায় ২০১৯ সালের ইস্টার সানডে বোমা হামলায় ২৬৯ জন নিহতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ হওয়া এক সন্দেহভাজন ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী ব্রিটেনে আশ্রয় চাইছেন। হামলায় ছয়জন ব্রিটিশ নাগরিক নিহত হওয়ায় বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে যুক্তরাজ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শ্রীলঙ্কান নাগরিক দাবি করেছেন, দেশে ফিরলে তিনি নির্যাতনের শিকার হবেন।

তিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে পৌঁছে আশ্রয়ের আবেদন করেন। শ্রীলঙ্কা সরকারের তদন্তে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তিনি ঘুষ দিয়ে জামিনে মুক্তি পান বলে জানিয়েছেন। তার দাবি, দেশ ছাড়ার পর পুলিশ একাধিকবার তার বাড়িতে গেছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। এসব কারণে তিনি নিজে ও তার স্ত্রীর জন্য আশ্রয় আবেদন করেন।

হোম অফিস প্রথমে তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানায়, অভিযোগের গুরুতর প্রেক্ষাপটে এই সন্দেহভাজনকে ব্রিটেনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে তিনি আপিল করেন এবং আপার ট্রাইব্যুনাল ফার্স্ট-টিয়ার ট্রাইব্যুনালের পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুনভাবে পুরো মামলাটি শুনানির নির্দেশ দেয়। আদালত জানায়, আগের বিচারক প্রমাণ বিশ্লেষণে বিভিন্ন ভুল করেছেন এবং ঘটনাগুলো যথাযথভাবে বিবেচনায় আনেননি।

রায়ে বলা হয়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তার দেশ ছাড়ার পর জারি হয়েছে—এ তথ্যকে উপেক্ষা করা হয়েছিল। এছাড়া, তার জামিনে মুক্তির বিষয়টিও গুরুত্ব পায়নি। বিচারপতি ক্লেয়ার বার্নস জানান, তার বর্ণনার বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করতে নতুন করে পূর্ণাঙ্গ শুনানি প্রয়োজন।

২০১৯ সালের ইস্টার সানডে হামলায় কলম্বোর শাংরি-লা ও সিনামন গ্র্যান্ডসহ একাধিক হোটেল এবং গির্জা লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক আনিতা নিকোলসন ও তার দুই সন্তান এবং আরও কয়েকজন পর্যটক। তদন্তে হামলাকারীদের ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী ন্যাশনাল তৌহিদ জামাতের সদস্য হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

এদিকে, হোম অফিস বলেছে, সরকার এই মামলায় কঠোর অবস্থান ধরে রেখেছে এবং আদালতে নিজেদের সিদ্ধান্ত জোরালোভাবে প্রতিরক্ষা করা হবে। তারা মনে করে, গুরুতর সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত অভিযোগের কারণে ব্যক্তি যেন ব্রিটেনে অবস্থান করতে না পারে তা নিশ্চিত করা জরুরি।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ আশ্রয় ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার ঘোষণা করেছেন, যার ফলে শরণার্থী মর্যাদা সাময়িক করা, মানবাধিকার আইনের অপব্যবহার ঠেকানো এবং অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত দেশত্যাগ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। নতুন এই প্রেক্ষাপটে এ মামলার শুনানি আরও গুরুত্ব পাচ্ছে।

সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ

এম.কে

আরো পড়ুন

খালি করা হলো বার্মিংহাম বিমানবন্দর, সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত

যুক্তরাজ্যে পাঁচ বছরে বন্ধ হওয়া বেশির ভাগ ফার্মেসিই দরিদ্র এলাকায়

নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে আশ্রয় আবেদনের সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে গিয়ে রিফিউজ করছে হোমঅফিস