উত্তর আয়ারল্যান্ড হাইকোর্ট জানিয়েছে, মানবাধিকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রত্যাহার চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের মাইগ্রেশন আইনটি সম্পূর্ণ বেমানান।
উত্তর আয়ারল্যান্ডের হাইকোর্ট বলেছে, অবৈধ অভিবাসন আইন ২০২৩ এর বিধানগুলি ইউরোপীয় কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর) এবং ইইউ প্রত্যাহার চুক্তির সাথে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
উত্তর আয়ারল্যান্ড হিউম্যান রাইটস কমিশন উইন্ডসর ফ্রেমওয়ার্ক এবং ইসিএইচআর অনুচ্ছেদ ২(১) অনুযায়ী হাইকোর্টের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে।
এনআইএইচআরসি উল্লেখ করেছে, ” উইন্ডসর ফ্রেমওয়ার্ক গ্যারান্টি দেয় যে ব্রেক্সিটের পরে বেলফাস্ট চুক্তি দ্বারা সুরক্ষিত অধিকারের কোনও হ্রাস হবে না।”
ফনিক্স সলিসিটার কোম্পানি এক মামলায় ষোল বছর বয়সী এক আশ্রয়প্রার্থীর আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্ব করেছিল। সেই কেইসে ইরানের একজন আশ্রয়প্রার্থী নর্থান আয়ারল্যান্ড হয়ে কেন্ট উপকূলে পৌঁছালে তাকে হোম অফিস আবারও উত্তর আয়ারল্যান্ডে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
ফনিক্স ল’ফার্মের সিনেড মারমিয়ন বলেন, ” গুড ফ্রাইডে চুক্তিটি সর্বদা মানবাধিকার সুরক্ষা এবং আশার একটি বাতিঘর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আজ, উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রোটোকলের মাধ্যমে আদালত আশ্রয় প্রার্থীদের সহ পুরো সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই অধিকারগুলি প্রযোজ্য তা নিশ্চিত করলো। এই রায়টি সরকারকে একটি পরিষ্কার বার্তা প্রেরণ করে। কেবল আশ্রয়প্রার্থীদেরই উত্তর আয়ারল্যান্ডে স্বাগত জানাবে না তাদের আইনগত সুরক্ষাও দিবে। ”
মামলায় এনআইএইচআরসি কর্তৃক নির্দেশিত ল্যান্ডমার্ক চেম্বার্সের ব্যারিস্টার ইয়াসার ভ্যান্ডারম্যান এক্সয়ে বলেছেন, ” আদালত অবৈধ অভিবাসন আইন ২০২৩ এর ১০ টি পৃথক বিধানকে অস্বীকার করেছে। কারণ এই ইইউ (প্রত্যাহার) আইনের বিধান ২০১৮ সালের প্রয়োজনে সৃষ্টি করা হয়েছিল। মানবাধিকার আইন ১৯৯৮ এর এস.৪ অনুসারে এই অসঙ্গতির ঘোষণা দেয়া হয়। সামগ্রিকভাবে এই কেইসের রায় এক বিশাল প্রভাব রাখবে মানবাধিকার ও আশ্রয়প্রার্থীদের নিরাপত্তা, সুরক্ষায়।
সূত্রঃ ইলেক্ট্রনিক ইমিগ্রেশন নেটওয়ার্ক
এম.কে
১৩ মে ২০২৪