করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে কঠোর লকডাউন চলছে ব্রিটেনে। তৃতীয়বারের এই জাতীয় লকডাউনে অল্প সংখ্যক কারণ ব্যতীত বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সেদেশের সরকার।
এবারের লকডাউন নিয়ে টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়া বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যসেবা ও ঘরোয়া নির্যাতনের মতো নির্দিষ্ট কয়েকটি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, বাড়ির বাইরে যাওয়ার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী দ্বারা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে গেলে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৪০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে পুলিশ।
কাজের ক্ষেত্রে
যদি বাড়িতে থেকে পেশাগত কাজ চালানো সম্ভব না হয়, কেবল তখনই বের হওয়া যাবে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবা বা দাতব্য কাজে বের হওয়া যেতে পারে।
দরকারি প্রয়োজন
দরকারি কেনাকাটা বা সেবা নিতে বাইরে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এছাড়া বিপদাগ্রস্ত ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তির সাহায্যে অথবা তাদের জন্য দরকারি পণ্য কেনাকাটা করতে বাইরে যাও্যা যাবে।
শিক্ষাক্ষেত্রে
শিশুদের শিক্ষা, নিবন্ধিত চাইল্ড কেয়ার এবং শিশুদের জন্য অনুমোদিত কার্যক্রমে অংশ নেওয়া যাবে।
দেখা-সাক্ষাত
সাপোর্ট বাবলের অনুমতি আছে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। সর্বোচ্চ ১৫ জনের সাপোর্ট গ্রুপে যোগ দিতে পারবেন।
শরীরচর্চা
বাড়ির বাইরে একা অথবা অন্য একজন ব্যক্তিকে নিয়ে শরীরচর্চা করতে পারবেন। তবে দিনে একবারের বেশি এই কাজে বাইরে যাওয়া চলবে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা
কোভিড টেস্টসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিতে বাইরে যেতে পারবেন। গর্ভবতী মা অথবা মৃত্যু শয্যায় থাকা ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারবেন। এছাড়া, পোষা প্রাণির চিকিৎসার জন্যেও বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেও্যা হয়েছে।
নির্যাতন
ঘরোয়া নির্যাতন বা অন্য কোনো বিপদের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন।
বিয়ে এবং শেষকৃত্যে অংশ নিতে বের হওয়া যাবে। কিন্তু সেখানেও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। বাড়ির সদস্য বা সাপোর্ট বাবলের বাইরে কারো সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে না। তাছাড়া যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া এসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না।
সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট ইউকে
৬ জানুয়ারি ২০২১
এনএইচ