13.3 C
London
May 19, 2025
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছে আয়ারল্যান্ড, বেতন ৩২ লাখ টাকা!

২০২১ সালে হঠাৎ করে ভয়াবহ কর্মী সংকটে পড়ে আয়ারল্যান্ড। এরপর শিথিল হয় এমপ্লয়মেন্ট পারমিট। যার ফলে ২০২২ সালে ৪০ হাজার ওয়ার্ক পারমিটের অনুমোদন দেয় আইরিশ ডিপার্টমেন্ট অব এন্টারপ্রাইজ ট্রেড এন্ড এমপ্লয়মেন্ট। এরমধ্যে স্কিল এমপ্লয়মেন্ট পারমিট ও সাধারণ কর্মসংস্থান পারমিট অন্যতম। আর এ ভিসায় সর্বনিম্ন বেতন রাখা হয়েছে বছরে ৩০ হাজার ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩২ লাখ টাকা।

জানা গেছে শুধু ২০২৩ সালেই নতুন করে ১৮ হাজারেরও বেশি ওয়ার্ক পারমিটের অনুমোদন দিয়েছে আইরিশ ডিপার্টমেন্ট অব এন্টারপ্রাইজ, ট্রেড এন্ড এমপ্লয়মেন্ট।

যার মাঝে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, মিশর, চীন, ব্রাজিল, ফিলিপিন্স, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়াসহ বেশ কিছু দেশ। এসেছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন কর্মীও। তবে সে সংখ্যা খুবই কম। সঠিক নিয়ম মেনে আবেদন না করায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশিরা।

আয়ারল্যান্ডের কারিগরি শিল্পের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও দেশ থেকে এনেছেন বেশ কয়েকজন দক্ষ কর্মী। স্বাস্থ্য বিভাগ ও তথ্য প্রযুক্তি খাতেও অনেক বাংলাদেশি ভিসা পেতে পারেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট খাতে কর্মরতরা।

স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমান সময়ে আয়ারল্যান্ড এ ওয়ার্ক ভিসার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। তবে আবেদনের পূর্বে প্রফেশন অনুযায়ী দক্ষ হয়ে আসার অনুরোধ জানান তারা।

স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনেক বাংলাদেশিই ভিসা পেতে পারেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। স্থানীয় বাংলাদেশিরা বলেছেন, আইরিশ সরকার নার্স ও আইটি বিভাগে সংকট মেটাতে প্রচুর কর্মী নিচ্ছে যা এখনও চলমান আছে। তাই দক্ষ হয়ে আসতে পারলে দেশটিতে ভালো কিছু করার সুযোগ আছে বলে মনে করেন তারা।

আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ও ওয়ার্ক ভিসা আলাদা। প্রথমে আবেদন করতে হয় ওয়ার্ক পারমিটের, পরে ওয়ার্ক ভিসার। স্বল্প ও দীর্ঘ উভয় মেয়াদের জন্য দেয়া হয় এই ভিসা। প্রথমে দুই বছরের জন্য ভিসা দেয়া হলেও, পাঁচ বছর বৈধভাবে থাকলেই দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের আবেদন করা সম্ভব বলে জানায় সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

এম.কে
০৪ জানুয়ারি ২০২৩

আরো পড়ুন

বাংলাদেশিসহ সব শান্তিরক্ষীকে সরিয়ে নিতে বললেন নেতানিয়াহু

অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপর ক্যাপ ব্যবস্থা প্রবর্তন

অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে মিশরকে ইইউর ৮০০ কোটি ডলার সহায়তা