যুক্তরাজ্যজুড়ে করোনা ভাইরাসের নতুন একটি ঢেউ শুরু হওয়ার দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই আশঙ্কার মধ্যেই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার শেষ ধাপটি কার্যকর করলো ইংল্যান্ড।
সোমবার (১৯ জুলাই) মধ্যরাতে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর রাজধানী লন্ডনের অনেক তরুণ বাসিন্দা বিধিনিষেধমুক্ত একটি লাইভ সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নেন। গত বছর মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম তারা সারারাত ধরে নেচেছেন ও অনেকে মিলে আনন্দ করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
WATCH: Celebrations at a nightclub in London as coronavirus restrictions are lifted pic.twitter.com/ms9Xd0stjy
— BNO News (@BNOFeed) July 18, 2021
এদিন লন্ডনের চিত্র অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা হলেও ভিন্ন। ক্লাবের ভেতরে জড়ো হওয়া লোকজন, তাদের কারও হাতে বিয়ারের গ্লাস, কিছু লোক সঙ্গীতের মূর্ছনায় বিমোহিত, সবাই রাতভর নেচেছেন। অনেকেই সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন, কেউ কেউ চুমু খাচ্ছিলেন আর এর মধ্যেও অল্প কয়েকজনের মুখে মাস্ক ছিল।
কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে থাকা দেশগুলোর একটি ব্রিটেন। দেশটিতে সংক্রমণের নতুন ঢেউ শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইংল্যান্ডে অধিকাংশ বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন যাকে কিছু লোক ‘স্বাধীনতা দিবস’ বলে অভিহিত করছে।
ভিন্নরকমের এই ‘স্বাধীনতা দিবস’ উদযাপনের আনন্দের পাশাপাশি সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়েও পরিষ্কার উদ্বেগ আছে। এখন যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন ৫০ হাজারেও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে।
ইউরোপের অন্য প্রায় সব দেশের আগে তড়িঘড়ি করে প্রাপ্তবয়স্ক জনসাধারণের ৬৮ শতাংশকে টিকার দুটি ডোজ দেওয়ার পর ইংল্যান্ড থেকে অধিকাংশ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পদক্ষেপ নেয় জনসন সরকার। সংক্রমণের পূর্ববর্তী ঢেউয়ের তুলনায় এবার কোভিড-১৯ জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা, গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর সংখ্যা কম হবে বলে ধারণা করছে তারা।
Tomorrow's front page: FM describes England's 'freedom day' as 'not sensible' among rising Covid cases pic.twitter.com/IeLdQdBQXd
— The National (@ScotNational) July 18, 2021
কতোজন লোক একসঙ্গে জড়ো হয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবেন বা কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবেন এখন তার ওপর আর কোনো বিধিনিষেধ নেই। মধ্যরাতেই নাইটক্লাবগুলো খোলা হয়, পাব ও রেস্তোরাঁয় টেবিল সার্ভিসের আর প্রয়োজন হবে না।
কিছু এলাকায় মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হলেও তা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নাইটক্লাব, ট্র্যাভেল কোম্পানি ও পরিষেবা শিল্পসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা অর্থনীতি পুনরায় সচল করার জন্য মরিয়া হয়ে ছিলেন; শিক্ষার্থী, তরুণরা ও অবিভাবকরা কঠোর অনেক নিয়ম কোনো উচ্চবাচ্য ছাড়াই উপেক্ষা করে এসেছেন।
রোববার (১৮ জুলাই) টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, ইংল্যান্ডকে লকডাউন থেকে বের করে আনার এটিই ‘উপযুক্ত সময়’। আরও দেরি করলে শরৎ ও শীতকালে করোনাভাইরাস ‘শীতল আবহাওয়ার সুবিধা পেতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
Like so many people I've been pinged by NHS Test and Trace as I have been in contact with someone with COVID-19, and I will be self-isolating until Monday 26th July. pic.twitter.com/X57gDpwDqe
— Boris Johnson (@BorisJohnson) July 18, 2021
১৯ জুলাই ২০২১
নিউজ ডেস্ক