যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে আইএস-এ যোগ দেওয়া শামীমা বেগম অবশেষে স্বীকার করেছেন তিনি একটি জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলছেন, তার প্রতি জনগণের ক্ষোভের কারণ বুঝতে পারেন তিনি।
জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানো শামীমা বছরব্যাপী দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০১৫ সালে পালিয়ে যাওয়ার পুরো পরিকল্পনার ব্যাখ্যা দেন। শামীমা বলেন, তিনি জানেন মানুষ এখন তাকে নিজেদের জীবনের উপর হুমকি হিসেবে দেখে। তবে তার দাবি, মানুষ যা ভাবে তিনি তেমন নন।
যে হাজার হাজার ব্রিটিশ এবং ইউরোপিয়ান জঙ্গি সংগঠন আইএস-এ যোগ দিতে সিরিয়া গিয়েছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র শামীমা। ২০১৫ সালে তিনি কিশোরী অবস্থায় সিরিয়া গিয়ে আইএস-এ যোগ দেন। সেখানে তিনি এক আইএস সদস্যের তিন সন্তানের জন্ম দেন। তিনটি সন্তানই মারা যায়। ২০১৯ সালে শামিমা বেগম আইএস-এর পতনের পর আটক হলে যুক্তরাজ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় তার নাগরিকত্ব বাতিল করে। তবে ব্রিটিশ আইনে কাউকে রাষ্ট্রহীন করার সুযোগ নেই।
যুক্তরাজ্যের দাবি শামীমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক। তবে বাংলাদেশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে শামিমার বাবা-মা বাংলাদেশের নাগরিক হলেও শামীমা কখনোই বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না। তাই বাংলাদেশ এই জঙ্গিবধুর কোন দায়িত্ব নেবে না। ফলে কার্যত রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। বর্তমানে শামীমা নাগরিকত্ব প্রশ্নে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে আছেন।
সূত্র: বিবিসি