12.3 C
London
May 4, 2024
TV3 BANGLA
মধ্যপ্রাচ্যশীর্ষ খবর

‘জিরো কার্বন সিটি’: বিশ্বকে চমকে দিলো সৌদি!

মানব ইতিহাসে এই প্রথম নির্মিত হতে যাচ্ছে কার্বন মুক্ত শহর। ২০২৫ সাল নাগাদ সৌদি আরবের নিওম শহরে তৈরি হবে ১৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ‘জিরো কার্বন সিটি’। বাঁচবে পরিবেশ, শহুরে জীবনযাত্রায় আসবে অভাবনীয় বিপ্লব।

 

বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে সৌদি সরকার হাতে নিয়েছে ‘দ্য লাইন’ প্রকল্প। দেশটির নিওম শহরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তৈরি হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম শহর, যেখানে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ থাকবে শূন্যের কোটায়। রোববার (১০ জানুয়ারি) প্রকল্পটির ঘোষণা দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

 

লোহিত সাগরের তীরে গড়ে উঠবে ‘জিরো কার্বন সিটি’। যেখানে থাকবে না কোনো গাড়ি ও রাস্তা, কারখানা থেকে নিঃসরিত হবে না কোনো কার্বন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাকেন্দ্র, বিনোদন ব্যবস্থা, সবুজে ঘেরা খোলামেলা পরিবেশ সবই থাকবে ৫ মিনিটের হাঁটার দূরত্বের মধ্যেই। ২৬ হাজার ৫শ’ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের নিওম শহরে প্রাধান্য দেওয়া হবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে। এখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষের আবাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে ৩ লাখ ৮০ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

 

শহরটিতে থাকবে লক্ষাধিক মানুষের ঘর। এখানে ‘নিওমের’ প্রায় ৯৫ ভাগ প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষিত হবে।

 

গতানুগতিক উন্নত শহরে দিন দিন বেড়েই চলেছে বায়ু দূষণ। অন্যদিকে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বাড়ছে সমুদ্রের উচ্চতা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক দশকে তলিয়ে যাবে নিচু এলাকার অনেক দেশ।

 

পরিবেশবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে গতানুগতিক শহরের পরিবর্তে আধুনিক শহর তৈরির কথা বলেন সৌদি রাজপুত্র।

 

‘দ্য লাইন’ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে ২০২১ সালের প্রথমার্ধেই এবং ২০২৫ সাল নাগাদ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সৌদি রাজপুত্র। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু সংকট নিরসণের পাশাপাশি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও বহুমাত্রা যোগ হবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার। জ্বালানি-ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৭ সালে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করে সৌদি সরকার। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবার ‘জিরো কার্বন সিটি’ গড়তে যাচ্ছে সৌদি আরব।

 

১১ জানুয়ারি ২০২১
সূত্র: সময় সংবাদ

আরো পড়ুন

সম্পত্তি গোপনে রানির লবিংয়ে আইন পরিবর্তন!

ইরানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন ব্রিটিশ নাগরিক

গাজায় আহতদের চিকিৎসা দিতে চায় স্কটল্যান্ড