ফ্রান্সে শরণার্থী আইনে বদল আনতে চান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। কড়া ডিপোরটেশন আইন তৈরির কথা বলে হয়েছে নতুন শরণার্থী আইনে।
নতুন এই বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে গোটা ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রান্তে। রোববার দুপুরে দক্ষিণ প্যারিসে এক বিশাল মিছিল বের হয় নতুন আইনের বিরোধিতা করে।
প্রতিবাদ সমাবেশ হতে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয় যাতে শরনার্থীদের নিগৃহীতের কথাও উঠে আসে। ডাস্টবিন পরিষ্কার, অফিসে এবং বাড়িতে পরিচারিকার কাজ, বাসন মাজার কাজ- এই ধরনের বিভিন্ন কাজে অংশ নিতে হচ্ছে শরণার্থীদের। অথচ বিমা থেকে শুরু করে কোনোরকম সুযোগ-সুবিধা তারা পাচ্ছেন না শরণার্থীরা। ফরাসি নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সমস্ত নোংরা কাজ করেও শরণার্থীদের জীবন দুর্বিসহ। মিছিলের একাধিক প্ল্যাকার্ডে এবিষয়ে লেখা ছিল বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, সোমবার ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিলটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। তবে আইন হওয়ার জন্য উচ্চকক্ষ এবং প্রেসিডেন্টের সই প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী বছরের গোড়ায় বিলটি আইনটি পরিণত হতে পারে। ফরাসি রাজনীতিকদের একাংশের বক্তব্য, বাম এবং দক্ষিণপন্থিদের সঙ্গে আপসমীমাংসার মাধ্যমেই এই বিল তৈরি হয়েছে। কিন্তু শরণার্থীরা একথা মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, এই বিল শরণার্থী বিরোধী।
বিলে কী আছে, তা এখনো সম্পূর্ণ জানা না গেলেও তথ্য অনুযায়ী অভিবাসন প্রত্যাশীদের দেশে রাখা হবে কি না, তা ফাস্টট্র্যাকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপিলের সময়সীমাও কমিয়ে দেয়া হবে। পরিবারের কাছে ফেরার রাস্তাও কঠিন করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ফ্রান্সে পরিবারের কোনো সদস্য থাকলে তার পক্ষে অভিবাসন পাওয়া আগে অনেক সহজ ছিল, সেই আইনে বদল আনা হবে। ফ্রান্সে চিকিৎসার জন্য আসার রাস্তাও কঠিন করা হচ্ছে। আগে ১৩ বছরের কম বয়সিদের ডিপোর্ট করা হতো না। এবার সেই আইনেও বদলের কথা বলা হয়েছে।
এই সমস্ত আইনকেই চ্যালেঞ্জ করছেন অভিবাসন প্রত্যাশী এবং শরণার্থীরা। তাদের বক্তব্য, শরণার্থীদের দিয়ে সমস্ত কাজ করিয়ে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের জীবন আরো দুর্বিসহ করে তোলার আইন তৈরি করা হচ্ছে। কোনোভাবেই তারা সেই আইন মানবেন না।
সূত্রঃ ডয়চে ভেলে
এম.কে
১১ ডিসেম্বর ২০২৩