যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অ্যান্ড্রু তার বিরুদ্ধে ভার্জিনিয়া জিওফ্রের করা যৌন নিপীড়নের আলোচিত মামলার নিষ্পত্তিতে সমঝোতায় এসেছেন।
বর্তমানে ৩৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ভার্জিনিয়া জিওফ্রে দাবি করেছেন, তিনি ১৬ বছর বয়স থেকে অর্থবাজারের শীর্ষ ব্যবসায়ী এপস্টাইনের যৌন পাচার এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। জিওফ্রে বলেছেন, তাকে প্রিন্স অ্যান্ড্রু সহ প্রভাবশালী পুরুষদের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
এসব ঘটেছে এপস্টেইনের কাছে তরুণী মেয়ে পাঠানো লন্ডনের সমাজে পরিচিত নারী গিলেইন ম্যাক্সওয়েলের বাড়িতে, নিউ ইয়র্কে এপস্টাইনের বিলাসবহুল বাড়িতে এবং ইউএস ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে এপস্টাইনের ব্যক্তিগত দ্বীপে।
অ্যান্ড্রু এসব অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সংশ্লিষ্ট আদালতে দাখিল করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিউক অব ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং ভার্জিনিয়া জিওফ্রে আদালতের বাইরে একটি নিষ্পত্তিতে পৌঁছেছেন। পত্রে বলা হয়, ডিউক জিওফ্রেকে একটি অপ্রকাশিত অঙ্কের অর্থ প্রদান করবেন।
প্রিন্স অ্যান্ড্রুর প্রতিনিধিরা বলেছেন, আদালতে দায়ের করা নথিতে যা বলা হয়েছে তার বাইরে কোনো মন্তব্য নেই। বাকিংহাম প্যালেসও এ মীমাংসার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
মার্কিন আদালতের বিচারক লুইস এ কাপলানের কাছে একটি চিঠিতে ভার্জিনিয়া জিওফ্রের আইনজীবী ডেভিড বয়েস প্রিন্স অ্যান্ড্রুর আইনজীবীদের সঙ্গে যৌথভাবে লিখেছেন, বাদী ও বিবাদী নীতিগতভাবে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন।
চিঠির সঙ্গে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডিউক ‘এ ধরনের হয়রানির শিকার হওয়াদের অধিকারের সমর্থনে জিওফ্রের দাতব্য প্রতিষ্ঠানে একটি উল্লেখযোগ্য অঙ্কের অর্থ দান করবেন।’
প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, কখনোই জিওফ্রের চরিত্রকে খারাপ হিসাবে দেখানোর উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। তিনি কারাগারে থাকাকালে আত্মহত্যা করা দোষীসাব্যস্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টাইনের সঙ্গে মেলামেশার জন্য অনুশোচনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পাচারের শিকার নারীদের সহায়তা করারও অঙ্গীকার করেন।
উল্লেখ্য, প্রিন্স অ্যান্ড্রু রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের তৃতীয় সন্তান এবং সিংহাসনে বসার অধিকারের তালিকায় নবম স্থানে। এ মামলায় বিচারের সম্মুখীন হওয়ার পর সম্প্রতি তার রাজকীয় পদবী ও বেশ কয়েকটি সাম্মানিক সামরিক পদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রানি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এনএইচ