ব্রিটেনে কীভাবে গাজা থেকে শরনার্থী ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে একটি প্রস্তাবনা দাতব্য সংস্থা ও গোষ্ঠীদের জোট তৈরি করেছে। খবরে জানা যায় শরণার্থী কাউন্সিল সেফ প্যাসেজ ইন্টারন্যাশনাল, হেলেন বামবার ফাউন্ডেশন সহ বিভিন্ন সংস্থাগুলো ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংকট ও সংঘাতের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ইউকে সরকার ইউক্রেনীয়দের যেভাবে জরুরি পরিবার পুনর্মিলনী প্রকল্প চালু করে সংকট ও সংঘাত মোকাবেলা করেছে ঠিক একইভাবে ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রকল্প চালু করার অনুরোধ করছে শরণার্থী কাউন্সিল।
শরণার্থী কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী এনভার সলোমন বলেছেন, ইউকে’কে অবশ্যই শরণার্থী সঙ্কটে ভূমিকা নিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, “যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার সাথে সাথে ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের বাস্তুচ্যুত হওয়া এবং গুরুতর বিপদ,হামলা কেবল বৃদ্ধি পাবে। ফিলিস্তিনের গাজায় সমস্ত লোকেরা তাদের বাড়িতে সুরক্ষিত এবং নিরাপদ নয় তাদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
গত সপ্তাহে স্থায়ী স্কিমের জন্য প্রবীণ লেবার নেতা আলফ ডাবস নিজের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারকে অবহিত করেছিলেন বলে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ পায়।
তাছাড়া স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির ওয়েস্টমিনস্টার নেতা স্টিফেন ফ্লিনও ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কাছে সরাসরি এই বিষয়ে আবেদন করেছেন বলে জানা যায়। যদিও ঋষি সুনাক এই বিষয়ে সরাসরি কোনো উত্তর দেন নাই।
ইমিগ্রেশন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক বলেন, এই মূহুর্তে ফিলিস্তিনি নয় আমাদের প্রধান লক্ষ্য ব্রিটিশ সিটিজেনদের গাজা হতে বের করে নিয়ে আসা।
উল্লেখ্য যে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাথে কাজ করা জাতিসংঘের এজেন্সি ও জাতিসংঘের ত্রাণ ও ওয়ার্কস এজেন্সির তথ্যানুসারে গাজা অঞ্চল জুড়ে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ১ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা আর দ্রুত হারে বাড়ছে বলেও রিপোর্টে জানা যায়।
এম.কে
২৩ অক্টোবর ২০২৩