‘ভবিষ্যতে ইতিহাসবিদরা নয়, ইউক্রেনের জনগণই আমাদের বিচারক হবেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ আগ্রাসনের ব্যর্থতা নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতাদের নতুন করে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
শনিবার (৫ মার্চ) নিউইয়র্ক টাইমসকে এ কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন। এ সময় তিনি ৬টি পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন যা রাশিয়ার আক্রমণ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তার দাবি।
আন্তর্জাতিক নেতাদের সাথে একাধিক বৈঠকের আগে বরিস জনসন বলেছিলেন: ‘পুতিনকে অবশ্যই ব্যর্থ করতে হবে আমাদের। নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আদেশের প্রতি আমাদের সমর্থন প্রকাশ করাই যথেষ্ট নয় – আমাদের অবশ্যই সামরিক শক্তি দ্বারা নিয়মগুলো পুনর্লিখনের একটি টেকসই প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
এই সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ১৪১টি দেশ এই আক্রমণের নিন্দা করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের সমন্বিত ৩৯টি দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধের জন্য সর্বকালের বৃহত্তম রেফারেল করেছে।
পুতিনের উপর চাপ বজায় রাখার জন্য তার ছয় দফা পরিকল্পনায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন:
১. বিশ্ব নেতাদের উচিত ইউক্রেনের জন্য একটি ‘আন্তর্জাতিক মানবিক জোট’ সংগঠিত করা
২. তাদের ‘নিজের আত্মরক্ষার প্রচেষ্টায়’ ইউক্রেনকে সমর্থন করা উচিত।
৩. রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে হবে।
৪. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রাশিয়ার ইউক্রেনে তার কর্মকাণ্ডের প্রতিরোধ করতে হবে।
৫. যুদ্ধের কূটনৈতিক রেজোলিউশন অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে, তবে শুধুমাত্র ইউক্রেনের বৈধ সরকারের সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
৬. ন্যাটো দেশগুলির মধ্যে ‘নিরাপত্তা ও স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার জন্য একটি দ্রুত অভিযান’ হওয়া উচিৎ।
ডাউনিং স্ট্রিটের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, অনেক দেশ ইতোমধ্যেই মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। মাত্র ১০ দিনে ১.৪ মিলিয়ন মানুষ ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়েছে।
৬ মার্চ ২০২২
এনএইচ