নির্দিষ্ট কিছু খাতে শ্রমিক সংকট মেটাতে এবং শ্রমিক উৎস বৈচিত্র্যময় করতে কুয়েতে যেসব দেশের শ্রমিকের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, সেসব দেশ ছাড়া অন্য উৎস থেকে শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ তালাল আল-খালেদ আল-সাবাহ।
কুয়েতের সরকারি জনশক্তি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন শ্রমিক রপ্তানিকারক দেশগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করার নির্দেশনাও রয়েছে। কুয়েতের ‘জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতার সমস্যা’ মোকাবিলার প্রচেষ্টা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটির শ্রম বাজারের চাহিদা পূরণ করা হবে।
কুয়েতের বিশেষ কিছু খাতের জন্য নির্দিষ্ট শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে চলতি মাসের শেষের দিকে ফিলিপাইনের একটি প্রতিনিধি দল পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জনশক্তি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করবে। আলোচনার পর ফিলিপাইন থেকে দেশটিতে শ্রমিকদের আনার সম্ভাবনা পুনরায় শুরু হবে।
জানা গেছে, ফিলিপাইনের প্রতিনিধি দল গৃহকর্মীদের জন্য দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ ও সপ্তাহে একদিন ছুটি এবং ওভারটাইমের বিষয়ে অনুরোধ জানাবে।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থা সব প্রদেশকে চিকিৎসা সহায়তা পরিষেবার জন্য তিনটি দরপত্রের অনুমোদন দিয়েছে। ৫ কোটি ৭১ লাখ কুয়েতি দিনারের এই টেন্ডারের অনুরোধ জানিয়েছিল কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে এক কোটি ৪০ লাখ দিনার মূল্যের প্রথম চুক্তি দেশটির হাওয়ালি স্বাস্থ্য অঞ্চলে নার্স নিয়োগের জন্য দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় চুক্তিটি সাবাহ স্বাস্থ্য অঞ্চল, রাজধানী কুয়েত সিটি ও জাহরা প্রদেশের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুই কোটি ৩০ লাখ দিনারের উভয় চুক্তি সর্বনিম্ন দরদাতাকে দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় চুক্তির মধ্যে রয়েছে কুয়েতের ফারওয়ানিয়া, মুবারক আল-কাবির এবং আহমাদি প্রদেশ। এই তিন অঞ্চলে শ্রমিক নিয়োগের জন্য দুই কোটি ২৮ লাখ দিনারের দরপত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় চুক্তিটিও সর্বনিম্ন দরদাতাকে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশি, ভারতীয় এবং ফিলিপিনো নার্সদের নতুন ব্যাচ গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। নতুন এলাকায় চালু করা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়োগ দেওয়া হবে এই নার্সদের। পাশাপাশি জনবল সংকট মেটাতে দেশটির অন্যান্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।