কম খরচে ইংরেজি বলতে পারা কর্মী পাওয়ায় বিশ্বের অনেক কোম্পানি তাদের কাস্টমার সার্ভিসের কাজ ভারতে আউটসোর্স করে। এই সুযোগে দেশটিতে ভুয়া কল সেন্টারও গড়ে উঠছে।
সেন্টারের কর্মীরা ভুয়া কর কর্মকর্তা, ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির কর্মকর্তা সেজে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের লাখ লাখ মানুষকে ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) বলছে, শুধু গতবছর ভারতের ভুয়া কল সেন্টারগুলোর কারণে বৃটিশ ও মার্কিন নাগরিকেরা ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হারিয়েছেন।
জাতিসংঘের হিসাবে, এপ্রিল মাসে চীনকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে যাচ্ছে ভারত। প্রায় ১৪৩ কোটি লোকসংখ্যার ৪০ শতাংশের বয়স ২৫-এর নিচে। প্রতিবছর ১ কোটি ২০ লাখ তরুণ চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। কিন্তু এতজনকে চাকরি দেয়ার সামর্থ্য ভারতের নেই। সে কারণে তরুণদের একটি অংশ এসব ভুয়া কল সেন্টার, কম বেতনের চাকরি, যেমন গিগ চাকরিতে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
গিগ অর্থনীতি হচ্ছে এমন এক পরিবেশ, যেখানে অস্থায়ী চাকরির ছড়াছড়ি থাকবে, আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে স্বতন্ত্র কর্মীদের (ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্কার্স) নিয়োগ দেবে। অর্থাৎ গিগ অর্থনীতিতে পূর্ণকালীন কর্মীদের চেয়ে ফ্রিল্যান্সারদের গুরুত্ব বেশি থাকে। আর ফ্রিল্যান্সাররা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে টাকা রুজি করছে দেদারসে।
বিশ্বে গিগ অর্থনীতির সবচেয়ে বড় ও দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর একটি ভারত। ২০২০-২১ সালে প্রায় ৮০ লাখ কর্মী গিগ অর্থনীতিতে কাজ করেছেন। ২০২৯-৩০ এর মধ্যে সংখ্যাটি ২ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে সরকারি থিংক ট্যাংক।