প্রপার্টি কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়াকে বলা হয় মর্গেজ। কোন ব্যাক্তি যখন ল্যান্ডার এর নিকট প্রপার্টি কেনার জন্য মর্গেজ অ্যাপলিকেশন করে। তখন ল্যান্ডাররা ৬টি প্রধান বিষয় বিবেচনা করে মর্গেজ অ্যাপলিকেশন প্রসেস করে। এই ৬টি প্রধান বিষয়কে “সিক্স পিলার অব মর্গেজ ল্যান্ডিং” বলে।
মর্গেজের ছয়টি স্তম্ভ
- লোন টু ভ্যালু
- লোন টু ইনকাম
- এফোরডেবিলিটি
- প্রপার্টির ধরণ
- অ্যাপলিকেন্ট এর আর্থিক অবস্থা
- ক্রেডিট হিস্ট্রি
লোন টু ভ্যালু
মর্গেজ অ্যাপলিকেশন করার পর সকল ল্যান্ডার মর্গেজ এর লোন টু ভ্যালু চেক করে। আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রপার্টির মূল্য কত এবং আপনি কি পরিমাণ লোণ চান।
উদাহারন স্বরূপঃ প্রপার্টির মূল্য ৩৫০০০০ এবং মর্গেজ প্রয়োজন ২৫০০০০। তাহলে এখানে লোন টু ভ্যালু হবে ৭০%। বাকি ৩০% অ্যাপলিকেন্টকে ডিপোজিট হিসেবে দিতে হবে।
এখন একটি মর্গেজ অ্যাপলিকেশন এর লোন টু ভ্যালু পারসেন্ট যত কম হবে। সেই মর্গেজ এর জন্য ভাল ইন্টারেস্ট রেট পাওয়া যাবে।
লোন টু ইনকাম
সাধারণত মর্গেজ অ্যাপলিকেন্ট এর বাৎসরিক ইনকাম এর ৪.৫ গুন থেকে ৫ গুন পর্যন্ত মর্গেজ পাওয়া যায়।
এফোরডেবিলিটি
আপনি যখনই কোন মর্গেজ লেন্ডারের কাছে মর্গেজ অ্যাপলিকেশন করবেন, তখন ল্যান্ডার প্রথমেই আপনার মর্গেজ এফোরডেবিলিটি এবং আপনার ইনকাম চেক করবে। তারা দেখবে আপনার বাৎসরিক ইনকাম কতো, আপনার ইনকামের স্ট্যাবিলিটি কেমন এবং আপনি মাসিক মর্গেজ পেমেন্ট ঠিক মত দিতে পারবেন কিনা।
প্রপার্টির ধরণ
মর্গেজ অ্যাপলিকেশন করার পর ল্যান্ডার আপনার প্রপার্টির সামগ্রিক অবস্থা চেক করবে। তারা চেক করবে আপনার প্রপার্টি হাউস অথবা ফ্লাট, স্ট্যান্ডার্ড প্রপার্টি, বিল্ড টাইপ, লোকেশন, হাউজিং অ্যাসোসিয়েশান, সেমি কমার্শিয়াল প্রপার্টি, এনার্জি পারফর্মেন্স সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
অ্যাপলিকেন্ট এর আর্থিক অবস্থা
ল্যান্ডার অ্যাপলিকেন্ট এর সার্বিক আর্থিক অবস্থা যাচাই করবে। অ্যাপলিকেন্ট এমপ্লয়েড অথবা সেলফ এমপ্লয়েড। কত মাস বা বছর ধরে এমপ্লয়মেন্ট অথবা ব্যবসা করছেন। জব পজিশন কি, সাম্প্রতিক সময়ে এমপ্লয়মেন্ট শুরু করেছে কিনা। তার কোন ডেবট আছে কিনা। অ্যাপলিকেন্ট ফাস্ট টাইম বায়ার নাকি পোর্টফলিও ল্যান্ডলর্ড । ইত্যাদি বিভিন্ন আর্থিক তথ্য ল্যান্ডার অ্যাপলিকেন্ট এর নিকট জানতে চাইবে।
ক্রেডিট হিস্ট্রি
প্রত্যেক মর্গেজ অ্যাপলিকেশন এর বিপরীতে ব্যাংক আবেদনকারীর ক্রেডিট হিস্ট্রি চেক করে থাকে। একটি ক্রেডিট রিপোর্ট এ মূলতঃ নাম,জন্ম তারিখ, বর্তমান ঠিকানা, পূর্বের ঠিকানা, ইলেক্টোরাল নিবন্ধন এবং বিগত ৬ বছরের ক্রেডিট হিষ্ট্রি লিপিবদ্ধ থাকে। কারও যদি কোন কোর্ট জাজমেন্ট অথবা লেনদেন ডিফল্ট থাকে, সেটিও ক্রেডিট রিপোর্ট এ রেকর্ড থাকে, কেউ যদি ক্রেডিট কার্ডের অথবা লোন এর নিয়মিত পেমেন্ট দিতে কখনও দেরি করেন অথবা কোন মাসে মিসড্ করেন তাহলে সেটিও ক্রেডিট রিপোর্ট এ রেকর্ড থাকে। অনেক সময় এই ক্রেডিট রিপোর্ট এ ভুল থাকতে পারে, যার দরুন আপনার মর্গেজ অ্যাপলিকেশন বাতিল হতে পারে। মর্গেজ অ্যাপলিকেশন করার আগে প্রত্যেকের উচিৎ নিজের ক্রেডিট রিপোর্ট একবার হলেও দেখে নেওয়া।
মর্গেজ সংক্রান্ত ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের ইমেইল অথবা টেলিফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা যাবে।
EMAIL: info@benecofinance.co.uk
PHONE: +4402080502478