6.4 C
London
December 23, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্য সফরে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট, রাস্তায় বিক্ষোভ

বেনজামিন নেতানিয়াহু যখন ঋষি সুনাকের কাছ থেকে একটি উষ্ণ অভ্যর্থনার পেতে ডাউনিং স্ট্রিটের দিকে হাঁটছিলেন তখন তার কানে বিক্ষোভের কঠিন আওয়াজ পৌঁছাবে বলে জানান বিশ্লেষকেরা।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে তার নিজের দেশের রাস্তায় ও এমন বিক্ষোভ তিনি দেখেছেন বলে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে।

বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বলে, নেতানিয়াহুর শাসন একটি বড় সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে ইসরায়েলে। ইসরায়েলের ঘরোয়া সমস্যাগুলি এখন প্রকট আকার ধারন করেছে বলে নেতানিয়াহু যেখানেই যান না কেন বিক্ষোভের আওয়াজ তাকে অনুসরণ করবে।

যদিও এই বিক্ষোভ যুক্তরাজ্যের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন না বিশেষজ্ঞ মহল।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ এবং ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত একটি যৌথ নথিতে উভয় পক্ষই স্বীকার করেন তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক “কখনও শক্তিশালী হয়নি”, যা আরো অনেক বেশি কার্যকরী হওয়া উচিত।

উদ্ভাবনী এবং সমৃদ্ধ গণতন্ত্র হিসাবে, “২০৩০ রোডম্যাপ হিসাবে পরিচিত নথিটি” ইসরায়েল এবং যুক্তরাজ্যকে   ঐতিহাসিকভাবে অংশীদারিত্বের জন্য গর্বিত করাবে। কারণ উভয় দেশই মনে করে তারা দৃঢ় বন্ধু এবং এক দেশ অন্যদেশের প্রাকৃতিক মিত্র।

শুক্রবার সকালের বৈঠকের বিষয়ে একজন মুখপাত্র বলেছেন, ” উভয়দেশের প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের সম্পর্কের উপর নির্ভরশীল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমর্থন করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।”

উল্লেখ্য যে কোন ধরনের সাংবাদিক বা টিভি ক্যামেরাকে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং প্রথাগত বিবৃতি বা কোনো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনও ছিল অনুপস্থিতি।

তবে ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর ব্রিটিশ সমালোচকরা সরগরম ছিলেন।

বিক্ষোভকারী সংগঠক ও অন্যতম আয়োজক শ্যারন শোচাত বৃটিশ গণমাধ্যমকে বলেন, ” প্রথমবারের মতো, ব্রিটিশ ইহুদিরা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। নেতানিয়াহু চরমপন্থায় বিশ্বাসী এবং গণতন্ত্র, উদার মূল্যবোধ হতে অনেক দূরে অবস্থান করে। ইসরায়েলে এখন তার খারাপ শাসন প্রতিফলিত হচ্ছে।

গত দুই মাস ধরে ইসরায়েলের রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা সরব ছিল। ইসরায়েলের জন্য আরও উদ্বেগের বিষয় হ’ল মার্কিন প্রশাসন তার ঐতিহ্যবাহী মিত্রের ব্যাপারে অনেকটাই নাখোশ।

গত সপ্তাহে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে স্টেট ডিপার্টমেন্টে ডেকে আনার অত্যন্ত অস্বাভাবিক পদক্ষেপ নিয়েছিল। তারা ব্যাখ্যা দাবি করেছিল কেন ইসরায়েল সরকার ২০০৫ সালের একটি আইনকে যথাযথভাবে পালন না করে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে।

উল্লেখ্য যে আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের দৃঢ় বন্ধু হিসাবে বিবেচিত হলেও, এখনও প্রেসিডেন্ট  নেতানিয়াহুকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানায় নি জো বাইডেন সরকার।

আরো পড়ুন

অভিবাসীদের জন্য রুয়ান্ডা নিরাপদ, আদালতে যুক্তরাজ্য সরকার

লন্ডন টিউব স্ট্রাইক স্থগিত

বাংলাদেশিদের নিয়ে ‘অযা‌চিত’ মন্তব্য করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীপ্রার্থী স্টারমার