TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব

যুক্তরাজ্যে ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রযুক্তি সচিব পিটার কাইল বলেছেন, অনলাইনে বিশেষ করে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যা করা প্রয়োজন, তিনি তা করবেন।

বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে প্রোগ্রামে তিনি জানিয়েছেন যে স্মার্টফোন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো প্রযুক্তি তরুণদের উপর প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা করা হবে, কারণ এই বিষয়ে বর্তমানে “কোনো দৃঢ় পিয়ার-রিভিউয়ের প্রমাণ” নেই।

তথ্যমতে জানা যাত, কাইল তার অগ্রাধিকারগুলোর বিষয়ে একটি কৌশলগত চিঠি পাঠিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকমকে। যা অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট (OSA) অনুযায়ী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দিকে জোর দেয়।

মলি রোজ ফাউন্ডেশন, একটি প্রচারণা দল, অফকমকে আরও সাহসী হওয়ার জন্য এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে তারা বলেছে যে অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।

মলি রোজ ফাউন্ডেশন জানায়, “আমাদের গবেষণায় এটি স্পষ্ট, জনসাধারণ এবং অভিভাবকরা এমন একটি হালনাগাদ আইন সমর্থন করেন যা প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর জন্য একটি সামগ্রিক যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব নির্ধারণ করে। প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে কাজ করতে হবে।”

অস্ট্রেলিয়ার সরকার ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য আইন প্রণয়ন করতে চলেছে। এর পর থেকে যুক্তরাজ্যে একই পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।

এ বিষয়ে পিটার কাইল বলেছেন, “আমাদের ক্ষেত্রে সবকিছুই আলোচনায় রয়েছে।”

অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট আগামী বছর কার্যকর হচ্ছে। যা প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে তাদের প্ল্যাটফর্মের কনটেন্টের জন্য আরও বেশি দায়িত্ব নিতে বাধ্য করবে।যাতে শিশুদের ক্ষতিকারক কনটেন্ট থেকে রক্ষা করা যায়।

কাইল বলেন, তিনি দেখতে চান যে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত বয়স যাচাইকরণের ব্যবস্থা করছে এবং এতে নিরাপত্তা শুরু থেকেই অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট অনুযায়ী, নিয়ম মেনে না চললে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলোকে কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।

ইতোমধ্যে ইনস্টাগ্রাম নতুন কিশোর অ্যাকাউন্ট সিস্টেম তৈরি করেছে এবং নভেম্বর মাসে রোবলক্স শিশুদের অন্যদের মেসেজ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

তবুও সমালোচকরা বলছেন, সরকারকে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।

ফেব্রুয়ারিতে, নিহত কিশোরী ব্রায়ানা গির মায়ের অভিযোগ ছিল যে আইন যথেষ্ট দূর পর্যন্ত যায়নি।

শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি অনেকেই তাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দিয়েছেন।

সংসদ একটি প্রাইভেট মেম্বারস বিল নিয়ে আলোচনা করছে, যেখানে শিশুদের ডিজিটাল জীবন নিরাপদ করার উপায় নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।

হেলথকেয়ার প্রফেশনালস ফর সেফার স্ক্রিনস নামের একটি সংস্থা এই বিষয়ে প্রমাণ উপস্থাপন করবে, যা স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ চায়।

হেলথকেয়ার প্রফেশনালস ফর সেফার স্ক্রিনসের প্রতিষ্ঠাতা রেবেকা ফলজ্যাম্ব বলেন,” এই সংস্থা গড়ে তোলার সময় আমি দেখেছি যে অনলাইন অপ্রাপ্তবয়স্ক বয়স্কদের ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা অনেক।”

উল্লেখ্য যে, সরকার স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ থেকে বিরত রয়েছে। তবে সমস্ত স্কুলে কার্যকর স্মার্টফোনমুক্ত নীতিমালা প্রণয়ন নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।

সূত্রঃ বিবিসি

এম.কে
২০ নভেম্বর ২০২৪

আরো পড়ুন

আদালতের রায় উল্টাতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন ঋষি

প্রবাসীদের যথাযথ সেবা দেওয়ার নির্দেশ

ইংল্যান্ডে মেডিকেল এসিস্ট্যান্টরা প্রেসক্রিপশন প্রদানের ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে

নিউজ ডেস্ক